সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ফুরফুরে মেজাজে আছে সাগরিকা-আফিদারা। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দলের মুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট।
আগামী ২ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত লাওসে অনুষ্ঠিত হবে ‘ই’ গ্রুপের খেলা। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক লাওস, শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া এবং তিমুর-লেস্তে। আটটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিনটি রানার্স-আপ দল এএফসির মূল পর্বে জায়গা করে নেবে, যা আগামী বছর এপ্রিলে মাঠে গড়াবে।
গত মাসেই সিনিয়র নারী দল প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে জায়গা করে নিয়েছে। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করে এগিয়ে যেতে চায় কিশোরীরাও। দলনেত্রী সাগরিকা জানালেন, ‘আমরা প্রস্তুত। বাছাই পর্বের চেয়েও ভালো করতে হবে এবার। কোচ যেভাবে পরিকল্পনা করবেন, আমরা সেটাই বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। ’
তবে দক্ষিণ কোরিয়ার মতো শক্ত প্রতিপক্ষ থাকায় চ্যালেঞ্জের বিষয়টিও মাথায় রেখেছে দল। এখনও প্রতিপক্ষ বিশ্লেষণের কাজ শুরু হয়নি বলে জানালেন সাগরিকা। বললেন, ‘ওদের খেলা এখনও দেখা হয়নি। তবে কোচ যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেটাই অনুসরণ করে খেলবো। ’
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাগরিকার পারফরম্যান্স বরাবরই নজরকাড়া। সর্বশেষ সাফ টুর্নামেন্টের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবে এখনো সিনিয়র দলে নিয়মিত হতে পারেননি। সাগরিকার ভাষ্য, ‘নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সেটা কোচের সিদ্ধান্ত। তবে আমার আত্মবিশ্বাস আছে, একদিন শুরুর একাদশে জায়গা পাবোই। ’
নারী ফুটবলে সাগরিকার বিকাশে বড় অবদান সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের। তার প্রশংসা করে সাগরিকা বলেন, ‘ছোটন স্যার আমাকে তৈরি করেছেন। এখন বাটলার স্যার আমাদের গাইড করছেন। দুজনের কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখছি। ’
দেশবাসীর ভালোবাসা ও সমর্থনই সাগরিকাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা বলেই মনে করেন তিনি। সাফের পর এএফসি বাছাই পর্বেও সেই ভালোবাসা ধরে রাখতে চান। বললেন, ‘দেশবাসী যেভাবে পাশে আছে, তা অব্যাহত থাকলে ইনশাআল্লাহ আরও বড় কিছু করে দেখাতে পারবো। ’
এআর/আরইউ