রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে বর্ণবাদী গালিগালাজ করায় স্পেনের এক আদালত পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছে, যা দেশটির ফুটবল ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব নজির বলে উল্লেখ করেছে লা লিগা।
লা লিগার এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রথমবারের মতো স্পেনের কোনো ফুটবল স্টেডিয়ামে দেওয়া বর্ণবাদী গালিকে ‘হেইট ক্রাইম’ বা ঘৃণাজনিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সাজা দেওয়া হলো।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রিয়াল ভায়াদলিদের বিপক্ষে এক ম্যাচে, যখন ভিনিসিয়ুসকে বদলি করার পর হোসে জোরিয়িয়া স্টেডিয়ামের পাশে হাঁটার সময় গ্যালারি থেকে তাকে বর্ণবাদী গালি দেওয়া হয়।
ভায়াদলিদের প্রাদেশিক আদালত পাঁচ অভিযুক্তকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়, তবে সেটি তিন বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে এই শর্তে যে, তারা এই সময়ের মধ্যে কোনো অপরাধে জড়াবে না। এছাড়া, এই তিন বছর তারা কোনো ফুটবল ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকতে পারবে না।
আদালত অভিযুক্তদের ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ৬২০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানাও করেছে।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে জানায়, “এই রায় সম্ভব হয়েছে লা লিগার উদ্যোগে করা আইনি প্রক্রিয়ার কারণে। শুরুতে একমাত্র অভিযোগকারী হিসেবে লা লিগা মামলাটি দাখিল করে, পরে এতে যোগ দেন খেলোয়াড় ভিনিসিয়ুস, রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাব এবং পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস। ”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “স্পেনে এখন পর্যন্ত যেসব রায় হয়েছে, সেগুলো নৈতিক ক্ষতির ভিত্তিতে হলেও এই রায় স্পষ্টভাবে বর্ণবাদী ঘৃণার ওপর ভিত্তি করে দণ্ড দিয়েছে, যা ক্রীড়াঙ্গনে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ”
ভিনিসিয়ুস: ‘আমি বর্ণবাদের শিকার নই, বরং বর্ণবাদীদের যন্ত্রণা’
স্পেনে খেলার সময় একাধিকবার বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। ২০২৩ সালের মে মাসে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে তাকে উদ্দেশ্য করে গালি দেওয়ায় তিনজন সমর্থককে আট মাসের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ প্রসঙ্গে ২০২৪ সালের জুনে ভিনিসিয়ুস বলেছিলেন—“আমি বর্ণবাদের শিকার নই, বরং আমি বর্ণবাদীদের যন্ত্রণার কারণ। ”
এমএইচএম