ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১৯ মহররম ১৪৪৭

বিনোদন

চাচার কাছেই সংগীত চর্চার শুরু মিতা হকের

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১১, এপ্রিল ১১, ২০২১
চাচার কাছেই সংগীত চর্চার শুরু মিতা হকের মিতা হক

সংগীতে অসামান্য অবদানের সৌজন্যে ২০২০ সালে সম্মানজনক একুশে পদক অর্জন করেছিলেন দেশবরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক। রোববার (১১ এপ্রিল) তার প্রয়াণে শোকাহত সংগীত ভুবন।

মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে, ঢাকায়। ছোটবেলায় তার চাচা বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ওয়াহিদুল হকের কাছেই সংগীত চর্চা শুরু করেছিলেন তিনি। পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন মিতা।

১৯৭৬ সাল থেকে তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন মিতা হক। বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। মিতা হক সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে।

মিতা হক ছায়ানট সংগীত বিদ্যানিকেতনে রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মিতা হকের মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।

মিতা হক অভিনেতা-পরিচালক খালেদ খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খালেদ খান ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এই দম্পতির ফারহিন খান জয়িতা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয়। একই বছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা’য় রবীন্দ্র সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মিতা হককে সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক আর নেই

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২১
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।