ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গে। এমনটিই জানিয়েছেন আফ্রিদির বন্ধু তানভীর রাহী।
একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রাহী বলেন, ‘আমি শুনেছি পায়েল আপুর সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদির সম্পর্ক ছিল। আমি অনেক আগেই এটা শুনেছিলাম, এটুকুই। ’
শোবিজের ‘ব্যাডবয়’ আফ্রিদির প্রেমের গুঞ্জন নানান সময় ছড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিনেত্রী দিঘীর সঙ্গে ছিল তার সখ্য। যদিও বারবার ‘বন্ধুত্ব’ বলে এড়িয়ে যেতেন তিনি।
পরে গত বছরের নভেম্বর মাসে রিসা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। গত রাতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের সময় আফ্রিদি বলছেন, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা।
২৪ আগস্ট রাতে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার তৌহিদ আফ্রিদি যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তিনি বেসরকারি চ্যানেল মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথীর ছেলে। হত্যা মামলায় নাসির উদ্দিন সাথীও গ্রেপ্তার রয়েছেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ভাষ্যে, জিজ্ঞাসাবাদে তৌহিদ আফ্রিদি অভ্যুত্থানের সময়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিশেষ করে তার কাছ থেকে জব্দ করা তিনটি ডিভাইসের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রক্রিয়া চলছে। এসব ডিভাইসে রাষ্ট্রবিরোধী অনেক ভয়ংকর তথ্য-প্রমাণ থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক খান মো. এরফান বলেন, তার (তৌহিদ আফ্রিদি) কাছ থেকে মোবাইল ফোন, হার্ডডিস্ক ও ম্যাকবুক (তিনটি ডিভাইস) জব্দ করা হয়েছে। এসব ডিভাইস ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানকালে তৌহিদ আফ্রিদি ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। অনেককে প্রভাবিত করেছেন। এমনকি কাউকে কাউকে হুমকি-ধমকিও দিয়েছেন পতিত সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার জন্য।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রোসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, আসামি তৌহিদ আফ্রিদি লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের নারকীয় কায়দায় হত্যা করতে উৎসাহিত করেন। যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে জব্দ ডিভাইসে অবশ্যই ভয়ংকর তথ্য-প্রমাণ আছে। এগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ষড়যন্ত্র, কার কী ভূমিকা এবং আন্দোলন দমনে কী ধরনের যোগসাজশ ছিল তা জানা যাবে।
এনডি/