নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আর সরকার বা রাষ্ট্রপতির মুখাপেক্ষী হতে হবে না। সংস্থাটি এখন নিজস্ব সিদ্ধান্তেই এই ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধনে ইসির দেওয়া প্রস্তাবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় এখন আর্মি, নেভি ও এয়ারফোর্সকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে তাদের বাদ দেয়। ফলে সংবিধানের ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ইসিকে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সামরিক বাহিনী নিয়োগের অনুরোধ জানাতে হতো। এখন আর সেই প্রক্রিয়ার প্রয়োজন থাকছে না।
এ বিষয়ে এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী আগের মতো স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে নাকি ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আরপিও অনুযায়ী নিয়োগ হবে। এক্ষেত্রে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবেই কাজ করবে।
ইসি কর্মকর্তারা আরও বলেন, অন্যান্য বাহিনীকে যেভাবে নিয়োগ করা হয়, সেভাবেই এখন আরও দৃশ্যমান ও সহজভাবে সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়োগ করা যাবে। এতদিন পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাব ও কোস্ট গার্ডকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নির্বাচনে নিয়োজিত করা হতো। এখন এর সঙ্গে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীও যুক্ত হবে।
ইইউডি/এমজে