ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির বাজেট প্রকাশ: ফের উপেক্ষিত গবেষণাখাত

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৪, জুন ১৭, ২০২৫
ঢাবির বাজেট প্রকাশ: ফের উপেক্ষিত গবেষণাখাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এক হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৮৮৩ কোটি চার লাখ টাকা দেবে।

এ ছাড়া ঢাবি উৎস থেকে ৯০ কোটি টাকা আসবে। ফলে ঘাটতি থাকবে ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।

 মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেল ৩টায় ঢাবির আব্দুল মতিন ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।  

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এবার বিভিন্ন খাতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। গতবছরের তুলনায় এবার বেতন, ভাতা, তথ্য প্রযুক্তিখাতে বরাদ্দ কিঞ্চিত কমেছে।

এ ছাড়া পণ্য ও পরিবহন, পেনশন, গবেষণা অনুদান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, যন্ত্রপাতি অনুদানসহ কয়েকটি খাতে বরাদ্দ কিঞ্চিত বেড়েছে।  

২০২৪-২৫ সেশনের বাজেটে গবেষণাখাতে ২০ কোটি সাত লাখ টাকা গবেষণাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা সামান্য বাড়িয়ে মাত্র ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা মোট বাজেটের মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ।

গবেষণাখাতের বাজেট নিয়ে কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাজেট প্রণয়নে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের স্বাধীনতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমরা এর বাইরে যেতে পারি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যতদিন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা না আসবে, আমরা সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের কোয়ালিটি বাড়ার সুযোগ থাকবে না।

তিনি বলেন, এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সাথে আমাদের বৈঠকে আমরা গবেষণা খাতের কথা বলেছি। তিনি আমাদের প্রস্তাব আকারে এটি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের মোট বাজেটের ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ তথা ২৯৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেতন বাবদ, ২০ দশমিক ৮৪ শতাংশ তথা ২১৫ কোটি ৯১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ভাতা বাবদ, পণ্য ও সেবা বাবদ ২৭ দশমিক ৬২ শতাংশ তথা ২৮৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং পেনশন বাবদ ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ তথা ১৩৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জুনে সিনেট হচ্ছে না

জুন মাসের মধ্যে বার্ষিক সিনেট অধিবেশন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এবার তা হচ্ছে না। এমনকি জুলাইয়ের মধ্যেও তা হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।  

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এ বছর প্রশাসনিক জটিলতায় সিনেট অধিবেশন নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না।

তিনি বলেন, যে ২৫ জন শিক্ষক সেখানে প্রতিনিধি রয়েছেন, তাদের মেয়াদ ১৫ জুন শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ৩৫ রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে অনেকে ফ্যাসিবাদের সহযোগী রয়েছেন। এর আগে আমরা একইকারণে সিন্ডিকেট সভা করতে পারিনি।

তিনি বলেন, সিনেটে সরকার থেকে প্রতিনিধি থাকে, এখনো সরকার থেকে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ফলে আমাদের কারণে নয়, বরং প্রশাসনিক জটিলতায় আমরা এবছর নির্ধারিত সময়ে সিনেট অধিবেশন করতে পারছি না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

এফএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।