ঢাকা: খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে তারা এই অনশনে বসেছেন।
অনশনে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম, মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা, ছাত্রসংসদের নেত্রী নিশিতা জাহান নেহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনশনে উপস্থিত হয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য-সচিব জাহিদ আহসান বলেন, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদ অভিভাবকসুলভ আচরণের কথা বলে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে এই শিক্ষার্থীদেরই বহিষ্কার করে। ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা হলেও এ বিষয়ে উপাচার্য ‘টু’ শব্দও করেনি। বরং সিন্ডিকেট মিটিং ডেকে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে।
তিনি বলেন, উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে কুয়েট শিক্ষার্থীরা ২৭ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন। কিন্তু কোনো এক অজানা শক্তির বলে কুয়েট উপাচার্যের কিছুই হয়নি। তিনি মোটেও অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। শিক্ষার্থীদের কাছে যাননি। যে শক্তিবলে এই জালেম উপাচার্য এখনো স্বপদে বহাল আছে, তাদের শিকড় এই বাংলাদেশে থাকবে না।
অনশন থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রশাসন নিয়োগ পেয়েছে, তারা জুলাইকে ভুলে গেছে। আমরা জুলাই ভুলব না। উপাচার্য মাছুদকে অবশ্যই তার পদ থেকে সরতে হবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম বলেন, কুয়েটের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেননি। তিনি দলান্ধ হয়ে সন্ত্রাসী ছাত্রদল-যুবদলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, কুয়েট শিক্ষার্থীরা যখন হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছে তখন সেই ১৭ জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি—হলের বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির সরবরাহ বন্ধ করে হল ছাড়তে বাধ্য করেছে।
এই নিউজ লেখা পর্যন্ত তারা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করছেন। তাদের প্রতিকী অনশন কতক্ষণ চলবে, তা নিশ্চিত করে জানায়নি সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
এফএইচ/আরবি