ঢাকা, বুধবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন ২০২৫, ২৮ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে চেষ্টা করছি: অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২০, জুন ২৫, ২০২৫
ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে চেষ্টা করছি: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মোটামুটি আস্থা আছে। এটি আরও বাড়াতে সরকার কাজ করছে।

 

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের আস্থা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা আমরা দেখছি। যখন ফরেন এক্সচেঞ্জ (ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া)  ওপেন করেছিলাম, তখন অনেকেই শঙ্কা করেছিল পাকিস্তানের মতো হয়ে যাবে কি না! কিন্তু সেটা হয়নি। মোটামুটি এখন একটা স্থিতিশীল অবস্থা আছে।  

রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কার, কার্যক্রম-সবই রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। তবে এখন একটা গ্রহণযোগ্য সময় আসছে, নির্বাচনের সময় নিয়েও মোটামুটি একটা বোঝাপড়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রশ্ন আসছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না। আমরা তো বলছি হবে। আমি যখন বিশ্বব্যাংকে গিয়েছিলাম, ওরাও জানতে চেয়েছিল। ”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, অর্থনৈতিক সংস্কার-সবকিছুই রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। রাজনীতি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে এখন একটা গ্রহণযোগ্য সময় আসছে, নির্বাচনের সময় নিয়েও মোটামুটি একটা বোঝাপড়া হচ্ছে। সবাই মোটামুটি সন্তুষ্ট।  

আরেক প্রশ্নের উত্তরে বিনিয়োগ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ কিছুটা ধীর, কারণ বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। রেগুলেটরি বিষয়গুলো ঠিক থাকলে বিনিয়োগ অবশ্যই বাড়বে।  

বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ক্রয় কমিটির বৈঠকে গম কেনা হয়েছে। ফরচুনেটলি গমের দাম কমে গেছে। এই কেনাকাটা ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চাল-গমের যে রিজার্ভ আছে, সেটা এখনও সন্তোষজনক। তবুও আমরা বলেছি ৫০ হাজার টন গম এনে রাখার জন্য, যাতে খাদ্যের কোনো সংকট না হয়।  

তিনি বলেন, হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। সংঘাত শুরুর আগে যে প্রাইস ছিল, যুদ্ধ বন্ধের পর তা কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রি-টেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কমে পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মন্ত্রণালয়ের একটা কৃতিত্ব।  

তবে মরক্কো, তিউনিসিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।  

জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।