চট্টগ্রাম: বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সেলিম রহমান বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল উৎপাদন খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের তৈরি পোশাকখাত। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা দিয়ে থাকে এই খাতের কারখানাগুলো।
তিনি ফায়ার সেইফটি প্লান ও ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন সহজীকরণ এবং অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে পোশাকশিল্প মালিকদের সার্বক্ষণিক সতর্কতা অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে নগরের খুলশীর বিজিএমইএ ভবনে অনুষ্ঠিত ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রথম সভায় এসব কথা বলেন সেলিম রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান রায়হান শামস্।
বিজিএমইএর পরিচালক ও ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, একটি কারখানায় আগুন লাগলে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও বিভিন্ন জটিলতায় পড়েন। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর, কাস্টমস বন্ড, ইন্সুরেন্স ও ব্যাংকিং জটিলতায়ও ভুগতে হয়। এসব জটিলতা নিসরনের জন্য কাস্টমস বন্ডসহ প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আন্তরিক হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতেন।
বক্তারা ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন প্রতিবন্ধকতা, ফায়ার সেইফটি প্লান প্রণয়নে অনুমোদিত ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের সংখ্যা বাড়ানো, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ, পোশাক কারখানায় অগ্নিনিরাপত্তা, ভবন কাঠামোগত নিরাপত্তা এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, অগ্নিদুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর, কাস্টমস-বন্ড সংশ্লিষ্ট জটিলতা, ইন্সুরেন্স সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ডাইরেক্টর ইনচার্জ রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. সাইফ উল্লাহ মনসুর, এনামুল আজিজ চৌধুরী, ফায়ার অ্যান্ড সেইফটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান তসলিম আরিফ, মোহাম্মদ নাকিম, কমিটির সদস্য কাজী মো. শফিকুল ইসলাম (টিটু), আরশাদ-উর-রহমান, মোহাম্মদ আবদুস শুক্কুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ওদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সিএম সালাহ্উদ্দিন আকবর, রফিকুল আনাম চৌধুরী, মোহাম্মদ নাকিম উদ্দিন, মোহাম্মদ ইছা প্রমুখ।
এআর/পিডি/টিসি