চবি: স্থানীয়দের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিয়ে সমালোচনা। এরই ধারাবাহিকতায় চবিতে ১০ তলা পাঁচটি ছাত্র হল ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণে ডিপিপি প্রণয়ন করে সরকারের কাছে আবেদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৫৬৩তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা শেষে রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে এবং তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত একটি মডেল থানা ও রেলগেট এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন এবং শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ১০ তলা পাঁচটি ছাত্র হল ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণে ডিপিপি প্রণয়ন করে সরকারের কাছে দাখিল করা হবে। বিদ্যমান হলগুলোকেও সংস্কার করা হবে।
মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা ও ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ও টহল জোরদারের অনুরোধ করা হবে।
এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরীকে।
একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। সংঘর্ষে স্থানীয়দের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে এবং এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগিতা করবে।
এমএ/টিসি