চট্টগ্রাম: একসময় দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার ছিল খাতুনগঞ্জ। নানা কারণে ব্যবসার পাশাপাশি জৌলুশও নিম্নমুখী এখন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) এ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, চটের বস্তায় ভারতের নাসিক বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। ছোট পেঁয়াজ ৬৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজও বড় ৬৮-৭০ টাকা, ছোট ৬৫ টাকা। চীনা রসুন ১০৫ টাকা, দেশি রসুন ৮০ টাকা। চীনা আদা ১৪০-১৪৫ টাকা আর কেরালার আদা ১২০-১২৫ টাকা।
তিনি জানান, পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম কমবে।
এবি স্টোরের আবুল হোসেন জানান, এলাচি ৪ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫৫০, লং ১ হাজার ২৪০, দারুচিনি ৩৭০-৪৬০, জিরা ৫৪০-৫৫০, মিষ্টি জিরা ১৫০-১৬০, জয়ত্রি ২ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ৫০০, বাদাম ১৩৫, গোলমরিচ ১ হাজার ১৫০ টাকা, আলু বোখারা ৫৪০, টক আলু বোখারা ৪৪০, ধনিয়া ১২৫-১৩০, হলুদ ২০৫-২১০, মরিচ ১২৫-২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেসার্স আবদুস সালাম সওদাগর নামের ডালের আড়তে অস্ট্রেলিয়ান ছোলা ৯৮ টাকা, সাদা মটর ৪৮ টাকা, মুগ ডাল মোমপলিশ ১১৫ টাকা, দেশি ১৩৮-১৪০ টাকা, মোটা ৯২-৯৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শাহ ফতেহ আলী বাণিজ্যালয়ের মোহাম্মদ সবুজ বলেন, হাটহাজারী মিষ্টি মরিচ ২৬৫-২৭০, বিন্দু বাংলা মরিচ ১৫০ টাকা, পঞ্চগড়ের ঝিলিক মরিচ ১১৫ টাকা, ধনিয়া ১২৫ টাকা, হলুদ ১৯৮ টাকা।
এস আর ট্রেডিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার মশুর ৯০ টাকা, ভারতের মুগ ডাল ১১৭ টাকা, কানাডার মটর ডাল ৫০ টাকা।
মহিন ট্রেডার্সে পাইকারিতে পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা, চীনা রসুন ১০০-১০৫, দেশি ৬০ ও ৮০ টাকা, চীনা আদা ১৪৫-১৫০ টাকা।
স্মাইল ফুড প্রডাক্টসের ডিলার পয়েন্টে সয়াবিন ৫ লিটার ৮৯০ টাকা, চিনি ১০৬ টাকা, আটা ৪৩ টাকা, ময়দা ৫৮ টাকা টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পণ্যের ঘাটতি না থাকলেও ক্রেতা কম।
এআর/টিসি