ঢাকা, শুক্রবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ জুলাই ২০২৫, ২২ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাদকের রুট বন্ধে সরকার কাজ করছে: আব্দুল হাফিজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২২, জুলাই ১৭, ২০২৫
মাদকের রুট বন্ধে সরকার কাজ করছে: আব্দুল হাফিজ ...

চট্টগ্রাম: কক্সবাজার সীমান্তে মাদকের রুট বন্ধে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদার) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) পতেঙ্গা বোট ক্লাবে আমিরাতে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের দুইটি টাগবোট রপ্তানি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, মাদকের সাপ্লাই রুট কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা। ওপারের মানুষ মাদকের অর্থ দিয়ে অনেক কিছু করছে।

সেটা আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমরা মাদকের উৎস বন্ধ করতে পারব না। কিন্তু মাদকের রুট বন্ধ করতে হবে।  

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের  কমিটি মাদক রোধ, নির্মূল ও দমনে কাজ করছে। তিন দিন আগে কক্সবাজারে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন। সব সংস্থার প্রধানরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সর্বোতো শক্তি নিয়োগ করা হবে মাদকের চোরাচালান বন্ধ করার জন্য। সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। আমাদের রিসোর্সের ঘাটতি আছে। কিন্তু যা রিসোর্স আছে তা দিয়ে সরকার মাদকের চোরাচালান বন্ধের চেষ্টা করছে। সরকারের উদ্যোগ, পদক্ষেপ আমি বলব খুবই দৃঢ়। খুবই শক্ত অবস্থান নিয়েছে মাদকবিরোধী অভিযানে। জনগণকে সচেতন হতে হবে। মাদক সেবনের ক্ষতিকর দিক সাংবাদিকদের তুলে ধরতে হবে। অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে।    

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কক্সবাজার-উখিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। প্রথম কথা হলো, তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। সরকার সর্বোতোভাবে চেষ্টা করছে যাতে তাদের ফেরত পাঠানো যায়। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যাতে কোনো অনৈতিক, অসাধু কাজ না হয়। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। এর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কাজ করছে। সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা দিচ্ছে। সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের চারটি ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার এলাকায় নিয়োজিত আছে। বিশেষ ফোকাস আছে আমাদের। চোরাচালান রোধে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। নতুন করে রোহিঙ্গা আসা বন্ধ করতে চাই। এ লক্ষ্যে আমাদের এজেন্সিগুলো কাজ করে যাচ্ছে।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।