চট্টগ্রাম: আমদানি করা ফলের চেয়ে দেশি ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বর্তমান প্রজন্মের নাগরিক, বিশেষ করে শহুরে বাসিন্দারা দেশের অনেক ফলের সঙ্গে অপরিচিত।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত ফল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক এসব কথা বলেন।
উৎসবে জাতীয় ফল কাঁঠাল, আম, কলা, আনারস, জাম, লিচু, লটকন, ডেউয়া, লুকলুকিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশি ফল রাখা হয়।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের চ্যাপ্টার সভাপতি ওসমান গনি মনসুর।
জাহিদুল করিম কচি বলেন, ক্লাবের সদস্যদের সন্তানদের আবহমান বাংলার মৌসুমি ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে ও ফল খাওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আরিফের পরিচালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য এনটিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, কালের কণ্ঠ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান।
বক্তারা বলেন, একসময় দেশের গ্রামেগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের দেশি ফল পাওয়া যেত। কালের পরিক্রমায় বহু ফল হারিয়ে যাচ্ছে। এখন আমদানি করা ফল বাজার দখল করে নিচ্ছে। দেশের বিলুপ্তপ্রায় ফলগুলো কীভাবে আবার ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে আরও মনোযোগী হতে হবে। এতে শুধু পুষ্টিগুণ নয়, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশি সংস্কৃতিরও পরিচয় ঘটবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে প্রথমবারের মতো আয়োজিত দেশি ফল উৎসবে ক্লাবের সদস্য ও তাদের পরিবারের শিশুরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
এআর/টিসি