পার্থের প্রথম ওয়ানডেতে বার বার হানা দিয়েছিলে বৃষ্টি। সবমিলিয়ে চারবার ভিজেছিল মাঠ।
১৩৭ রানের টার্গেটটা সহজই ছিল স্বাগতিকদের জন্য। ২৯ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় তারা। তবে তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১০ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ট্রাভিস হেড (৮) ও ম্যাথিউ শর্ট (৮)। এরপর জয়ের নায়ক হিসেবে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন ইনিংসে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তার সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাট রেনশ (২১)। আগেই ৩৭ রানের ইনিংস খেলে দলের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন জশ ফিলিপে।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জয় পেয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে হার দিয়ে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের নতুন যাত্রা শুরু করলেন শুভমান গিল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ইনিংস গড়পড়তা ছন্দ খুঁজে পায়নি শুরু থেকেই। ১৩৬ রানে থেমে যায় দলীয় সংগ্রহ। বৃষ্টি একাধিকবার ম্যাচে হানা দিলেও ভারতের ব্যাটিং ব্যর্থতা স্পষ্ট ছিল বৃষ্টি থামার আগেই। দলীয় ২৫ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান শীর্ষ তিন ব্যাটার শুবমান গিল, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি।
দীর্ঘ সাত মাস পর ভারতের হয়ে মাঠে নামা কোহলির জন্য দিনটা একদমই সুখকর ছিল না। ৮ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন তিনি। রোহিত শর্মাও হতাশ করেছেন। দেশের হয়ে ৫০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমে করেন মাত্র ৮ রান। নতুন অধিনায়ক গিলও ফেরেন ১০ রানে। এরপরেই শুরু হয় বৃষ্টির নাটক।
বৃষ্টিতে প্রথমে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ৪৯ ওভারে, পরে ৩২, আর শেষে ২৬ ওভারে। ইনিংসের শুরুতে টপ অর্ডার ভেঙে পড়ার পর ভারত দেখেশুনে খেলতে চায়। ১৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৫২ রান তুলেছিল দল, তখনই চতুর্থবার বৃষ্টি এসে থামিয়ে দেয় খেলা। পরে নির্ধারিত ২৬ ওভারে শেষ ৫৬ বলে ভারত তোলে আরও ৮৪ রান।
মাঝ ও নিচের সারিতে ভরসা জোগান লোকেশ রাহুল (৩৮) ও অক্ষর প্যাটেল (৩১), দুজনেই ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ভারতের লড়াইটা কিছুটা টিকিয়ে রাখেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন জশ হ্যাজলউড, মিচেল ওয়েন ও ম্যাথিউ কুনেম্যান। তিনজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
আরইউ