সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হেরে গেল বৃষ্টির কাছে। সিরিজে প্রথমবার আগে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৮.২ ওভারে, স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১৬৪ রান। ইনিংসের প্রধান ভরসা ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৪৬ বলে ৭৩ রানের ঝলমলে ইনিংসে তিনি হাঁকান ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। এর মাধ্যমে তিনি স্পর্শ করেন ব্যক্তিগত ১৪তম অর্ধশতক। এই ইনিংসের মাধ্যমে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক হয়েছেন অধিনায়ক। দেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ১৩টি অর্ধশতকের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
ওপেনিংয়ে সাইফ হাসান ৮ বলে ১২ করে দ্রুত ফিরলেও লিটন একাই ধরে রাখেন ব্যাটিংয়ের গতি। তবে বৃষ্টির কারণে স্লো হয়ে যাওয়া উইকেটে অন্যরা রান তুলতে হিমশিম খেয়েছেন। তাওহীদ হৃদয় করেন ১৪ বলে ৯ রান, শামিম হোসেন ১৯ বলে ২১ রান। নুরুল হাসান সোহান ১১ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন ও জাকের আলী অনিক ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন।
ম্যাচ চলাকালে দু’দফা বৃষ্টি হানা দেয়। প্রথমে পঞ্চম ওভারে প্রায় আধঘণ্টা খেলা বন্ধ ছিল। দ্বিতীয়বার নামা বৃষ্টি আর মাঠে ফেরার সুযোগই দিল না। যদিও প্রত্যাশা ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খেলা শুরু হলে নেদারল্যান্ডস অন্তত ৫ ওভারের লক্ষ্য তাড়া করতে মাঠে নামতে পারবে। কিন্তু প্রকৃতির কাছে হার মানতে হলো ক্রিকেটকে। ফলে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষ হলো অমীমাংসিতভাবে। অবশ্য আগেই দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে।
এফবি/জেএইচ