শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভাঙার খুব কাছে অবস্থান করছেন ইংলিশ ব্যাটার জো রুট। এই আলোচনা এখন তুঙ্গে।
রুটের টেস্ট অভিষেক ভারতের বিপক্ষেই, ২০১২ সালে নাগপুরে। তখন টেন্ডুলকার খেলছেন ১৯৩ টেস্ট। অভিষেক ইনিংসে ভারতের চার স্পিনারের আক্রমণ সামলে ছয়ে নেমে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে খেলেছিলেন ২২৯ বলে ৭৩ রানের লড়াকু ইনিংস। ড্র হওয়া সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও ২০ অপরাজিত ছিলেন রুট।
টেন্ডুলকার এরপর আর মাত্র সাত টেস্ট খেলে বিদায় নেন, টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৯২১ রানকে সঙ্গী করে। অনেকেরই তখন মনে হয়েছিল, এই রেকর্ড হয়তো অটুটই থেকে যাবে। অ্যালেস্টার কুককে নিয়ে কিছুদিন আলোচনা হয়েছিল সম্ভাবনা হিসেবে, কিন্তু সাড়ে তিন হাজার রান দূরে থেকেই অবসর নেন তিনি।
কিন্তু জো রুট সেই ভাবনাকে উল্টে দিয়েছেন। ১৩ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইতোমধ্যেই তিনি। টেন্ডুলকারকে ছাড়াতে প্রয়োজন আর ২ হাজার ৩৭৯ রান। বয়স এখন ৩৪, ফর্মও দারুণ। তাই অনেকেই ধরে নিয়েছেন, টেন্ডুলকারের রান সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবেন রুট, এমনকি তার ম্যাচ সংখ্যাও।
টেন্ডুলকার অবশ্য এসব আলোচনায় খুব একটা যেতে চান না। তবে সম্প্রতি রেডিটের সঙ্গে ‘আস্ক মি এনিথিং’ সেশনে জানালেন, রুটকে প্রথম দেখাতেই বুঝেছিলেন তিনি সোনা পেয়েছে ইংল্যান্ড।
টেন্ডুলকারের ভাষায়, ‘১৩ হাজার রান পেরিয়ে যাওয়া অসাধারণ অর্জন। সে এখনও দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তাকে প্রথম দেখি ২০১২ সালে নাগপুরে, ওর অভিষেক টেস্টে। তখনই সতীর্থদের বলেছিলাম, তোমরা ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ অধিনায়ককে দেখছো। ’
রুটের কোন দিকটা তাকে সবচেয়ে মুগ্ধ করেছিল, সেটিও জানালেন টেন্ডুলকার, ‘আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছিল, ও যেমনভাবে উইকেট পড়তে পারছিল আর স্ট্রাইক বদল করছিল। তখনই বুঝেছিলাম, রুট অনেক বড় ক্রিকেটার হবে। ’
আরইউ