ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) প্রথম পাঁচ ম্যাচে সাকিব আল হাসানকে প্রায় উপেক্ষাই করা হয়েছিল। চার ইনিংসে হাতে এসেছে মাত্র পাঁচ ওভার, পেয়েছিলেন কেবল একটি উইকেট।
অবশেষে এল সেই প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। রবিবার রাতে ইতিহাসের পঞ্চম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাকিব। তবে কেবল এখানেই নয়, গড়েছেন এক অনন্য রেকর্ডও। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাত হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের ‘ডাবল’ অর্জন এখন তার দখলে।
নিজের এই কীর্তি নিয়ে আবেগী সাকিব বললেন, ‘এই অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। এত লম্বা ক্যারিয়ারে যা অর্জন করতে পেরেছি, তাতে আমি খুশি। ’ তবে আগের ম্যাচগুলোতে বল হাতে না পাওয়ার আক্ষেপও ঝরল তার কণ্ঠে, ‘গত কয়েক ম্যাচে আমি বেশি বোলিং করতে পারিনি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। কারণ সাধারণত আমি আরও বেশি ওভার করি। তবে দলের প্রয়োজনে যখন সুযোগ আসবে, আমি অবদান রাখার চেষ্টা করব। ’
দিনশেষে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে নিয়েছেন তিনি, যা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার ৪৪তম। এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলকে ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব। বিশ্ব ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি ম্যাচসেরার স্বীকৃতি আছে মাত্র চারজনের।
দলের জয় নিশ্চিত করার পর আত্মবিশ্বাসের কথাও শোনালেন এই অলরাউন্ডার, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারা সবসময়ই দারুণ অনুভূতি। বিশেষ করে যখন সেটা জয়ে পরিণত হয়। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, আর আমি চাইব সেটা ধরে রাখতে। ক্রিকেট প্রতিদিন বদলাচ্ছে, আগের চেয়ে অনেক দ্রুতগতির। তাই মানসিকতা ও খেলার উন্নতিতে কাজ করে যেতে হবে। ’
সাকিবের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান সফরে আছেন তার পরিবারের সদস্যরাও। ব্যস্ত সূচির মাঝেও প্রিয়জনকে পাশে পাওয়া তার জন্য বাড়তি শক্তি, ‘পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে থেকেছে। তবে তিন সন্তানের পড়াশোনার কারণে এখন আর সব জায়গায় সম্ভব হয় না। গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় এবার তারা এসেছে। পরিবার পাশে থাকলে অনেক কিছুই সহজ হয়ে যায়, বিশেষ করে বয়স বাড়তে শুরু করলে। ’
আরইউ