অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ইতিহাস গড়ল স্বাগতিকরা। ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ এবং ক্যামেরন গ্রিন ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে নিয়ে গেলেন রানের পাহাড়ে।
এই প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে তিন অজি ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। ওপেনিং জুটিতে হেড ও মার্শ যোগ করেন ২৫০ রান, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ। হেড করেন ১৪২ রান (১০৩ বলে), মার্শ করেন ১০০ রান (১০৬ বলে)।
এরপর নামেন গ্রিন, মাত্র ৪৭ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি, যা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ওয়ানডে শতক। শেষ পর্যন্ত গ্রিন অপরাজিত থাকেন ১১৮ রান (৫৫ বলে, ৮ ছক্কা)। কিপার অ্যালেক্স ক্যারি করেন অপরাজিত ৫০।
দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট ছিল বিশাল, ৪৩২ রান। তবে শুরু থেকেই ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ২৪.৫ ওভারে অলআউট ১৫৫ রানে। তরুণ অলরাউন্ডার কুপার কনোলি তুলে নেন ৬ ওভারে ২২ রানে ৫ উইকেট, যা অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারদের মধ্যে ওয়ানডে ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার।
ফলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জেতে ২৭৬ রানে—যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। অন্যদিকে, এটি দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মার্শ বলেন, ‘আজকের দিনটা ছিল একেবারেই পাগলাটে!’
শেষ ম্যাচ জিতলেই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে ঘরে তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি প্রোটিয়াদের টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ (ওয়ানডে)
৪ উইকেটে ৪৩৪ – বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, জোহানেসবার্গ (২০০৬)
২ উইকেটে ৪৩১ – বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ম্যাকে (২০২৫)
৬ উইকেটে ৪১৭ – বনাম আফগানিস্তান, পার্থ (২০১৫)
৮ উইকেটে ৩৯৯ – বনাম নেদারল্যান্ডস, দিল্লি (২০২৩)
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি
৪০ বল – গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বনাম নেদারল্যান্ডস (২০২৩)
৪৭ বল – ক্যামেরন গ্রিন বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (২০২৫)
৫১ বল – গ্লেন ম্যাক্সওয়েল বনাম শ্রীলঙ্কা (২০১৫)
৫৭ বল – জেমস ফকনার বনাম ভারত (২০১৩)
এমএইচএম