আসন্ন এশিয়া কাপ ২০২৫-এর পাকিস্তান স্কোয়াড থেকে তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান বাদ পড়ায় সমালোচনা শুরু হলেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এই সিদ্ধান্তে তার কোনো ভূমিকা নেই।
রোববার লাহোরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় নকভি বলেন, ‘খেলোয়াড় নেওয়া বা বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার ১ শতাংশও ভূমিকা নেই।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে প্রায় প্রতিটি বহুজাতিক টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বাবর ও রিজওয়ান। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পর থেকেই দুজনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আর সুযোগ পাচ্ছেন না।
তাদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে মূল লক্ষ্য আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তরুণদের গড়ে তোলা। তবে এ সিদ্ধান্তে সমর্থক ও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নকভি বলেন, ‘আমি নির্বাচকদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখি। আমি তাদের কেবল নির্দেশ দিয়েছি যোগ্যতার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে। আমাদের লক্ষ্য তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করা এবং প্রতিযোগিতা বাড়ানো। ’
রিজওয়ানের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নকভি জানান, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচকেরা। আমাদের শেষ ওয়ানডের পর কোচ একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন, সেটি পর্যালোচনা করে পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ’
রিজওয়ান ২০২৪ সালের অক্টোবরে বাবরের কাছ থেকে নেতৃত্ব নিয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হন। প্রথমে টানা তিনটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতলেও ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নেয় পাকিস্তান, যা তার নেতৃত্বে বড় ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
পাকিস্তান স্কোয়াড (এশিয়া কাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজ)
সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নওয়াজ, হোসেন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সাহিবজাদা ফারহান, সালমান মির্জা, শাহীন শাহ আফ্রিদি, সুফিয়ান মুকিম।
এমএইচএম