বাংলাদেশ ‘এ’ দলের একাদশে ৯ জন ক্রিকেটারেরই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, এছাড়া কয়েকজন জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ। অন্যদিকে পার্থ স্কর্চার্স একাডেমির একাদশে পাঁচ ক্রিকেটারের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হয়নি এখনও।
রোববার টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাটিংয়ে দারুণ ব্যর্থ হয় সোহানের দল। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে কোনোরকমে ১২৩ রানে থামে তাদের ইনিংস। আফিফ হোসেন একাই ছিলেন লড়াইয়ে। ৪৯ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেন তিনি। দশ নম্বরে নেমে রকিবুল হাসান খেলেন ১৬ রানের ইনিংস, শেষ ওভারে ছক্কার জোড়া মেরে দলের রান একশ পেরোনোর পথ করে দেন তিনিই।
শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ওপেনার নাঈম শেখ (৫), সাইফ হাসান (১) আর জিসান আলম (৯) ফেরেন দ্রুত। পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে ওঠে মাত্র ২৯ রান। ব্যর্থ হন অঙ্কন (৬), অধিনায়ক সোহান (১৪) আর তোফায়েল (১)। আফিফ এক প্রান্তে টিকে থাকলেও ইনিংসে গতি আনতে পারেননি। শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয় ও নাঈম হাসানকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন ব্রাইস জ্যাকসন। রকিবুলের ব্যাটে শেষ ওভারে আসে ২০ রান, তাতেই স্কোর পৌঁছায় ১২৩–এ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কর্চার্স একাডেমি শুরু করে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। প্রথম ওভারেই আসে ১১ রান, দ্বিতীয় বলে ছক্কা। যদিও শুরুতে দুই উইকেট তুলে কিছুটা আশার আলো জাগায় বাংলাদেশ। জেডেন গুডউইন (১৭), অধিনায়ক স্যাম ফ্যানিং ও নিক হবসন দ্রুত বিদায় নিলে চাপ তৈরি হয়। তবে টিগ ওয়াইলি খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। ৮১ রানে ৫ উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেটে জোয়েল কার্টিস (৩৪ বলে অপরাজিত ৪৪) ও ম্যাথু স্পুর্স (২৪*) দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ১৮তম ওভারে।
এ নিয়ে টপ এন্ড সিরিজে তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দ্বিতীয় পরাজয় এটি। আগামী মঙ্গলবার নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে নামবে সোহানের দল।
আরইউ