ঢাকা, সোমবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৬ সফর ১৪৪৭

ক্রিকেট

ছত্তিশগড় যুবকের সিমে কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের কল

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:০৫, আগস্ট ১১, ২০২৫
ছত্তিশগড় যুবকের সিমে কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের কল

ছত্তিশগড়ের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এক যুবকের জীবন যেন একেবারে বদলে গেল একটি নতুন সিম কার্ড কেনার পর। তিনি ভাবছিলেন, সাধারণ একটি সিম কার্ড কিনেছেন, কিন্তু জানতে পারলেন সেটি ছিলো ভারতের ক্রিকেটার রাজাত পাতিদারের পুরনো নম্বর।

 

এরপর শুরু হয় তার জীবনের এক অবাক করা যাত্রা। বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং আইপিএল অধিনায়কের ফোন কল পেয়ে তিনি যেন অচেনা এক দুনিয়ায় প্রবেশ করলেন।

মাদকাওন গ্রাম, গড়িয়াবন্দ জেলার মানিশ বিসি নামের ২০ বছরের এক যুবক ২৮ জুন দেবভোগের একটি দোকান থেকে সিম কার্ডটি ক্রয় করেন, যেটি তার গ্রামের কাছাকাছি প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সিম সেটআপ করতে তার বন্ধু খেমরাজ সাহায্য করার সময় তারা লক্ষ্য করেন, হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইলের ছবিটি ভারতের ক্রিকেটার রাজত পাতিদারের, যিনি ২০২৫ আইপিএল মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ছিলেন।

প্রথমে তারা বিষয়টিকে কোনো ত্রুটির কারণ ধরে নেয়, কিন্তু এরপর শুরু হয় বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ইয়াশ দয়ালের মতো ক্রিকেট তারকাদের ফোন কল।

শুরুর দিকে তারা ধারণা করেন এটি বন্ধুদের কোনো ঠাট্টা, তাই মজার ছলে ফোনে কথাও বলেন। কিন্তু ১৫ জুলাই রাজত পাতিদার নিজেই ফোন করে নম্বর ফেরত চেয়েছেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়।

গড়িয়াবন্দের ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ, নেহা সিনহা জানান, টেলিকম নীতিমালা অনুযায়ী ৯০ দিনের ব্যবহারহীনতার পর সিমটি নিষ্ক্রিয় করা হয় এবং নতুন গ্রাহকের কাছে দেওয়া হয়, ‘মানিশ আসলে পাতিদারের পরিচিত ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কল পাচ্ছিলেন। পাতিদার মধ্যপ্রদেশ সাইবার সেলে জানিয়ে দেন যে তার নম্বর কারো কাছে চলে গেছে এবং তা ফেরত চান। ’

মধ্যপ্রদেশ সাইবার সেল গড়িয়াবন্দ পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মানিশ ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। পরিবারের সম্মতিতে সাম্প্রতিক সময়ে সিমটি পাতিদারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। নেহা সিনহা আরও বলেন, ‘এতে কোনো আইনগত সমস্যা ছিল না, এটি ছিল সাধারণ টেলিকম পদ্ধতির একটি অংশ। ’

মানিশ, খেমরাজ ও তাদের পরিবারদের জন্য এ ঘটনা এক স্বপ্নের মতো। খেমরাজ, যিনি বিরাট কোহলির বড় ভক্ত, স্মরণ করে বলেন, ‘মানিশ ফোনটা আমাকে দিয়েছিলেন। কলাররা নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও ইয়াশ দয়াল হিসেবে। তারা জানতে চেয়েছিলেন কেন আমরা পাতিদারের নম্বর ব্যবহার করছি। আমরা বললাম এটা আমাদের নতুন সিম কার্ড। ’

মানিশের ভাই দেশবন্ধু বিসি জানান, ‘কোহলি আর ডি ভিলিয়ার্সের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে কথা বলা আমাদের ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। যদিও এটি একটি ভুলবশত ঘটেছে, আমরা সৌভাগ্যবান। সাধারণ মানুষ তো তাদের দেখতেও স্বপ্ন দেখে, আর আমরা কথা বলার সুযোগ পেলাম। ’

আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।