ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩ রানের জয় তুলে নিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ম্যাচে ব্যাট হাতে ৯৫ রান ও বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে নায়কোচিত ভূমিকা রাখেন রিজান হোসেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ ধীরগতিতে ইনিংস শুরু করলেও ছয় ওভারের পর হাত খোলেন। তবে আসল দৃঢ়তা আসে তৃতীয় উইকেটে রিজান ও কালাম সিদ্দিকীর ব্যাটে। কালাম ৭৫ বলে ৬৫ রান করেন ৭ চারে। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৭ রানের জুটি।
পরে রিজান ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগোয় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির পথে থাকা রিজান ৯৬ বলে ৯৫ রান করে রান-আউট হন, তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চারে। আব্দুল্লাহ শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করেন, রাতুল যোগ করেন ৮ বলে ১৩। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ২৬৯ রান।
রান তাড়ায় নেমে ভালো শুরু পায় প্রোটিয়ারা। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ বলে আসে ৫৯ রান। মোহাম্মদ আল-ফাহাদের আঘাতে ভাঙে এই জুটি; ৩১ বলে ৪০ রান করে ফেরেন আদনান লাগাডিয়েন। এরপর ফাহাদের বলে ১৯ রান করা জরিখও বিদায় নেন।
৬৬ রানে দুই ওপেনার হারানোর পর প্রোটিয়ারা তৃতীয় উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে। তবে রিজান হোসেন তুলে নেন সফরকারী অধিনায়ক মোহাম্মদ বুলবুলিয়াকে (৩১ বলে ৪৩)। চতুর্থ উইকেটে মাত্র ৮ রান করে আরমানও ফেরেন রিজানের শিকারে। এরপর স্বাধীন ইসলাম ফেরান ৫৩ বলে ৩৫ রান করা জেসনকে।
১৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৪ রানে গিয়ে হারায় সপ্তম উইকেট। অষ্টম উইকেটে সনি ও ব্যান্ডিলে ৬৬ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে কিছুটা আশা জাগালেও সনিকে (৩২ বলে ৩৪) বিদায় করে দেন রিজান। শেষ দুই উইকেটও তুলে নিয়ে ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি। এছাড়া ফাহাদ নেন ৩ উইকেট আর স্বাধীন ২টি পান।
আরইউ