পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ বয়কট করেছিল ভারত। এর জবাবে পাকিস্তান জানিয়ে দিল, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (বিশ্ব কিংবদন্তি চ্যাম্পিয়নশিপ)-এ ভবিষ্যতে আর অংশ নেবে না তারা।
টুর্নামেন্টে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাত, স্বার্থপরতা ও ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণ’-এর অভিযোগ তুলে পুরো আয়োজনের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবির এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়, যখন সদ্য সমাপ্ত ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছে পাকিস্তান। তবে মাঠের লড়াইয়ের বাইরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পিসিবি।
মূল ঘটনাটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে ঘিরে। আয়োজকরা জানায়, 'ভারতীয় ক্রিকেটারদের আহত মানসিক অবস্থা বিবেচনায় ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। '
কিন্তু পিসিবির দাবি, ম্যাচ বাতিল ও পয়েন্ট দেওয়ার পদ্ধতি ছিল একপাক্ষিক, পক্ষপাতদুষ্ট এবং খেলার ন্যায্যতার পরিপন্থী।
পিসিবির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, 'যেসব আয়োজন খেলাধুলার চেতনাকে রাজনীতির স্বার্থে বিকিয়ে দেয়, সেখানে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাঠানো যায় না। খেলাধুলা হওয়া উচিত ভ্রাতৃত্ব, প্রতিযোগিতা ও পারস্পরিক সম্মানের প্রতীক। '
পিসিবি আরও বলে, 'শান্তির নাম করে খেলাকে রাজনীতির হাতিয়ার বানানো হয়েছে। যে ম্যাচ ক্রিকেটীয় কারণে নয় বরং জাতীয়তাবাদী আবেগের চাপে বাতিল হয়, সেটি স্বাধীন ক্রীড়াঙ্গনের জন্য হুমকিস্বরূপ। '
এদিকে, ফাইনালে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এবি ডি ভিলিয়ার্স ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রান করে ম্যাচ শেষ করেন। পুরো টুর্নামেন্টে ৬ ম্যাচে ৪২৯ রান করে তিনি হন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়।
তবে রাজনৈতিক বিতর্ক ছাপিয়ে গিয়েছিল তার বিস্ময়কর ব্যাটিংয়ের আলো।
এমএইচএম