সফরের আগে মিচেল মার্শ ভাবতেও পারেননি ৫-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতবেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই হলো।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে এক সফরে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড এটি। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে তারা ৮টি ম্যাচ জিতেছিল বটে, তবে সেখানে একটি ম্যাচ ছিল ড্র। তবে বিশ্বরেকর্ডটি এখনও ভারতের দখলেই রয়েছে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ৯টি ম্যাচ জিতেছিল বিরাট কোহলির দল।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকালে সেন্ট কিটসে ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয় ১৭৩ রানে। রান তাড়ায় বড় কোনো ইনিংস না খেললেও ছোট ছোট ইনিংসের সমন্বয়ে তিন ওভার বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে শিমরন হেটমায়ার লড়াই করেছেন একাই। তার ৩১ বলে ৫২ রানের ইনিংসেই ভর করে স্বাগতিকরা পেরিয়েছে ১৭০ রানের গণ্ডি। তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অস্ট্রেলিয়ান বোলার বেন ডোয়ার্শিস।
রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল বিপর্যস্ত। মাত্র ২৫ রানে তারা হারায় তিন উইকেট। মিচেল মার্শ ১৪, জশ ইংলিস ১০ এবং আগের ম্যাচের নায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ফেরেন শূন্য রানে। তবে এরপর থেকেই পাল্টা আক্রমণ শুরু হয় ক্যামেরন গ্রিন ও টিম ডেভিডের ব্যাটে। গ্রিন ১৮ বলে করেন ৩২, আর ডেভিড মাত্র ১২ বলে খেলেন চার ছক্কার ইনিংস।
অভিষেকেই ফিফটি করা মিচেল ওয়েন শেষ ম্যাচেও ঝড় তোলেন। তিনটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৭ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। লোয়ার অর্ডারে অ্যারন হার্ডির অপরাজিত ২৮ রানে সহজেই জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
আরইউ