আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটালেন আন্দ্রে রাসেল। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে ঘরের মাঠে, পরিবারের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগঘন বিদায় নিলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
মাঠে প্রবেশের সময় ‘গার্ড অব অনার’ পেয়েছেন দুই দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। জ্যামাইকার ক্রীড়া মন্ত্রী অলিভিয়া গ্রেঞ্জের সঙ্গে মঞ্চে উঠে পেয়েছেন একটি বিশেষ স্মারক। ছিল জ্যামাইকার পতাকায় মোড়ানো গিটার-আকৃতির ব্যাট-বল। ক্রিকেট আর রেগে সুরের এক অনন্য সংমিশ্রণ যেন রাসেলকে দিয়েই পূর্ণতা পেল।
ম্যাচে ক্যামিও ইনিংস খেললেও বোলিংয়ে ছিলেন খরুচে, ফিল্ডিংয়েও মিস করেছিলেন দুটি ক্যাচ। তারপরও দর্শক, সতীর্থ আর গোটা ক্রিকেটবিশ্বের কাছে তিনি ছিলেন ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। ম্যাচ শেষে গ্যালারির ধারে গিয়ে ভক্তদের সঙ্গে ছবি তোলা, অটোগ্রাফ দেওয়া আর হৃদয়ভরা কৃতজ্ঞতার অনুভব; সবকিছুতেই যেন ফুটে উঠেছিল ভালোবাসা ও বিদায়ের চিহ্ন।
২০১০ সালে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক, কিন্তু সেটিই থেকে গেছে তার একমাত্র সাদা পোশাকের ম্যাচ। এরপর সময়ের সঙ্গে নিজের পরিচয় গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে। তবে টানা খেলার সুযোগ পাননি। জাতীয় দলের বাইরে থেকেছেন চুক্তি ছাড়া, খেলেছেন বেছে বেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দাপট থাকলেও ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৮৬টি। রান ১১২২, উইকেট ৬১।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় তার সবচেয়ে বড় অর্জন। তবু আফসোস থেকে যাবে, এমন প্রতিভা আরও বড় কিছু দিতে পারতেন দলকে।
সবশেষ ম্যাচ খেলার পর রাসেলের কণ্ঠে ছিল কৃতজ্ঞতার আবহ, ‘আমি গর্বিত, খুশি। ঘরের মাঠে, প্রিয়জনদের সামনে বিদায় নিতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। ফল পক্ষে আসেনি, কিন্তু ভালোবাসা পেয়েছি অনেক। দর্শকরা ছিল অসাধারণ। ’
আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে। কিন্তু সেখানে আর থাকছেন না রাসেল। নিজেই বুঝে নিয়েছেন, থামার সময় এসে গেছে, ‘আমার মনে হয়েছে, এটিই সঠিক সময় থেমে যাওয়ার। দলের প্রতি শুভকামনা রইল। আমি কৃতজ্ঞ, এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করতে পেরে। ’
আরইউ