আগের ম্যাচটা জিতে সমতায় ফিরেছিল বাংলাদেশ। সেই ধারা বজায় রাখতে পারলেই ঐতিহাসিক সিরিজ বিজয়, এমন সমীকরণ সামনে রেখে আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা।
পাল্লেকেল্লেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় শ্রীলঙ্কা। এরপর কুশল মেন্ডিসের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে একাদশের বোলিং বিভাগে একটি পরিবর্তন আনে। হাসান মাহমুদের জায়গায় আসেন তাসকিন আহমেদ। বল হাতে মোটামুটি ভালোই করেছেন তিনি। ১০ ওভারে ৫১ রান খরচে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। টাইগার দলপতি ১০ ওভারে ৪৮ রানে নিয়েছেন তাসকিনের সমান ২ উইকেট।
তবে বাংলাদেশের বাকি বোলাররা তেমন কিছু করতে পারেননি। বরং পুরো ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি শেষ পর্যন্ত ঠেকেছে ১২৪ রানে। মাত্র ১১৪ বলে ১৮টি চার দিয়ে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
মেন্ডিস যেখানে লঙ্কান ইনিংসের ভিত্তি, চারিথ আসালাঙ্কা তার পিলার। তার ৬৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংসটির কল্যাণে রানের পাহাড়ে চড়তে সক্ষম হয় স্বাগতিক দল।
যদিও বোলিংয়ের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। নিশান মাদুশকা (১)-কে বিদায় করে লঙ্কান ওপেনিং জুটিকে দাঁড়াতে দেননি বাংলাদেশি পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এরপর আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেন কুশল মেন্ডিস।
তাদের জুটিতে ৫৬ রান যোগ হওয়ার পর আঘাত হানেন বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার তানভীর ইসলাম। নিসাঙ্কা ফেরেন ৩৫ রান করে। এরপর কামিন্দু মেন্ডিস (১৬) কিছুক্ষণ সঙ্গ দিলেও মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন।
দলীয় ১০০ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর থেকে উইকেটে জেঁকে বসেন কুশল ও আসালাঙ্কা। দুজনে মিলে বড় জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। আসালাঙ্কা দলকে ২২৪ রানে রেখে চতুর্থ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন।
শেষদিকে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। বোলারদের হাত ধরে আসে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সাফল্য। ২৪৯/৫ থেকে একসময় লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ২৫৯/৭। কিন্তু ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১৪ বলে ১৮*) ও চামিরা (৮ বলে ১০*) মিলে বাকিটা ভালোভাবেই পাড়ি দেন। ফলে বড় লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।
এমএইচএম