বার্মিংহ্যামের টেস্টে ব্যাট হাতে ইতিহাস গড়েছেন ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল। ম্যাচের দুই ইনিংসে ২৬৯ ও ১৬১ রান করে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন তিনি।
গিলের অসাধারণ এই কীর্তির সুবাদে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরায়। ম্যাচ শেষে ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন তরুণ অধিনায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে গিল জানান, আইপিএল শেষ হওয়ার পর ব্যাটিং টেকনিকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিলেন তিনি।
‘মানুষ কী ভাবছে, টেকনিকে কী বদল হলো—এসব পরিবর্তন প্রতি ম্যাচেই হয়। তবে আমি যেটা ভাবি, সেটা হলো আমার সতীর্থরা আমার সম্পর্কে কী ভাবে, তাদের বিশ্বাসটাই আসল,’ বলেন গিল।
ভারতের জয়ে বড় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি একাধিক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। একই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার এখন গিল, ১৯৭১ সালে সুনীল গাভাস্কার করেছিলেন ১২৪ ও ২২০ রান।
বিশ্ব ক্রিকেটে এই কীর্তি রয়েছে মাত্র কয়েকজনের—গাভাস্কার ছাড়াও ব্রায়ান লারা, গুচ, গ্রেগ চ্যাপেল, সাঙ্গাকারা, মার্নাস লাবুশেন, কিথ ওয়াল্টার্স ও আরজি লোয়ের মতো কিংবদন্তিরা এই তালিকায় রয়েছেন।
ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও এখন গিলের দখলে (৪৩০ রান)। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বিরাট কোহলির ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গড়া ২৪৩ ও ৫০ রানের রেকর্ডকে।
অধিনায়ক হিসেবে কীভাবে নিজেকে পরিচালনা করেন—জবাবে গিল বলেন, ‘যখন আপনি অধিনায়ক, তখন আপনাকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হয়। নিজের চাওয়া নয়, দলের চাহিদাকে গুরুত্ব দিলে, সঠিক পথে এগোনো যায়। ’
গিল জানান, যখন তিনি স্কোরকার্ডে নয়, দলের টার্গেটে মন দেন, তখন দীর্ঘ সময় ব্যাটিংয়ের মানসিক ও শারীরিক শক্তি পান।
বিদেশের মাটিতে বিরল কীর্তিতে গিল
৪৩০ রানের এই ইনিংস দিয়ে গিল হয়ে উঠেছেন উপমহাদেশের বাইরে টেস্টে ৩৫০ এর বেশি রানের মালিক দ্বিতীয় এশিয়ান ব্যাটার, হানিফ মোহাম্মদের পর। এছাড়া ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডে ৩০০ এর বেশি রানের ইনিংস আছে এখন কেবল তিনজন ভারতীয়র—রাহুল দ্রাবিড় (৩০৫), শচীন টেন্ডুলকার (৩০১) এবং শুবমান গিল (৪৩০)।
শুধু তাই নয়, ভারতের অধিনায়ক হিসেবে একই টেস্টে দুই ইনিংসে শতক করা গিল তৃতীয় নাম—গাভাস্কার ও কোহলির পর। আর অধিনায়কত্বের প্রথম দুই টেস্টেই তিনটি শতক করা দ্বিতীয় খেলোয়াড়—কোহলির পরেই।
এমএইচএম