প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হঠাৎ ভেঙে পড়া ব্যাটিং লাইনআপ, ৭৭ রানের হারের পর দলের ভেতরে ছিল দীর্ঘ আলোচনা। সেখান থেকে একটি বার্তা স্পষ্ট হয়েছে—‘দীর্ঘ ইনিংস খেলতে হবে, ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে ৬১ বলে ৬২ রান করা এই তরুণ ব্যাটার নিজের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট নন।
তানজিদ বলেন, ‘আমি মোটেও বলব না যে ভালো খেলেছি। দলের যে প্রয়োজন ছিল, সেটা আমি পূরণ করতে পারিনি। যদি করতে পারতাম, তাহলে বলতে পারতাম ভালো খেলেছি। ’
তবে তিনি বিশ্বাস করেন, সিরিজে ফেরার সুযোগ এখনো আছে, ‘এটা তিন ম্যাচের সিরিজ। একটা ম্যাচ হয়ে গেছে, এখন পরেরটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইনশাআল্লাহ যদি কামব্যাক করতে পারি, তাহলে এখনো সিরিজে টিকে থাকার সুযোগ আছে। ’
তানজিদ আরও বলেন, শান্তু ভাইয়ের (নাজমুল হোসেন) সঙ্গে তাদের জুটি ভালো হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ একটি দুর্দান্ত ক্যাচ ও রান আউটের কারণে ছন্দ ভেঙে যায়। ‘আমরা যদি তখন ৩০–৪০ রান আর যোগ করতে পারতাম, তাহলে ম্যাচ অনেক সহজ হয়ে যেত,’—বলেছেন তিনি।
প্রেমাদাসার উইকেটে ইনিংসের শেষ ভাগে ব্যাট করা কঠিন হয়ে যায়। ফলে যারা সেট হন, তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত তানজিদের, ‘এই উইকেটে শুরুতে টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু কেউ একবার সেট হয়ে গেলে, তাকে ইনিংসটা লম্বা খেলতে হবে এবং দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে। আমি আর শান্তু ভাই যদি ১০–১৫ ওভার আর ক্রিজে থাকতে পারতাম, তাহলে ম্যাচের চিত্রটা ভিন্ন হতো। ’
প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা নিয়ে দলের ভেতরে ইতোমধ্যেই আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোচরা কিছু তথ্য দিয়েছেন আমাদের। যেমন—ওদের (শ্রীলঙ্কার) স্পিন আক্রমণ খুব শক্তিশালী। তাই যেই ব্যাটাররা সেট হবে, তারাই যেন শেষ পর্যন্ত খেলতে পারে, কারণ নতুন ব্যাটারদের জন্য এই উইকেটে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসারাঙ্গা মিডল ওভারে বল করে এবং ডানহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে বেশ কার্যকর। তাই আমরা বামহাতি ব্যাটাররা যেন বেশি স্ট্রাইক নিতে পারি, সে বিষয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। এসব তথ্য দ্বিতীয় ম্যাচে কাজে লাগতে পারে। ’
এমএইচএম