লর্ডসের গ্যালারিতে আবেগ থামিয়ে রাখা গেল না। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্তটি যখন বাস্তবতা হলো—অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ জিতে নিল প্রোটিয়ারা, তখন কেশব মহারাজ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না।
এমন দিনেই পাশে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অতীতের তিন কিংবদন্তি— শন পোলক, গ্রায়েম স্মিথ এবং এবিডি ভিলিয়ার্স। কেউ বাউন্ডারির পাশে, কেউ কমেন্ট্রি বক্সে, কেউ বা গ্যালারিতে ছেলের হাত ধরে। তাঁদের চোখে আনন্দ, বুকের ভেতর হয়তো পুরনো সব ব্যথার স্মৃতি—৯৯ বিশ্বকাপ, ২০১৫-এর অশ্রুজল, কিংবা নেদারল্যান্ডস বিপর্যয়—সবকিছু মুছে দিল এক ঐতিহাসিক জয়।
২০১৫ সালের সেই বিভীষিকাময় বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল কিংবা ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের কাছে লজ্জাজনক হার—সবই যন্ত্রণার স্মৃতি হয়ে ছিল কেশব মহারাজের হৃদয়ে। আজ সেই কেশব দাঁড়িয়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে, চোখে অশ্রু, বুকভরা গর্ব।
তিনি বললেন,
“এই জয়ের মাহাত্ম্য ভাষায় বোঝানো যাবে না। যারা আমাদের আগে এসেছেন, তাদের সম্মান জানিয়ে বলি—এই জয় ভবিষ্যতের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে। দেশবাসী, যারা সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন—এই ট্রফি তাদের জন্য। আমরা একতাবদ্ধ ছিলাম, ঠিক সেটাই এনে দিয়েছে এই ফল। ”
আরেক প্রান্তে ছিলেন টেম্বা বাভুমা—যিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েও খেলেছেন ম্যাচজয়ী ইনিংস, যিনি মারক্রামের সঙ্গে গড়েছেন ১৫৭ রানের জুটি। জয় আসার পর বাকিরা যখন উদযাপনে মাতেন, তিনি তখন এক কোণে মুখ ঢেকে বসে, কান্নায় ভেঙে পড়েন। অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে বহু সমালোচনা সয়েছেন। সবকিছুর জবাব একসঙ্গে দিয়ে দিলেন তিনি। বাকিরাও আবেগ সংবরণ করছেন খুব কষ্ট করে। সেই একফ্রেম যেন শত শত গল্পের সারসংক্ষেপ।
এমএইচএম