একসময় ফুটবল মাঠে ছিলেন নিয়মিত মুখ। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছেন বিদেশেও।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইং থেকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তাকে। নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘একসময় রুমকি আমাদের গোলরক্ষক ছিল। কিন্তু আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একাধিক খেলায় অংশ নেওয়া যাবে না। সে কারণে ও ফুটবল ছেড়ে অ্যাথলেটিকসে চলে যায়। এখন যদি ও চায়, আমরা আবার ক্যাম্পে ডাকতে পারি। তবে শর্ত একটাই—ফুটবলে ফিরলে অন্য খেলা ছাড়তে হবে। ’
তবে রুমকি এখনও সিদ্ধান্তে উপনীত হননি। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (মাহফুজা কিরণ) কয়েকদিন আগে বলেছেন ফুটবলে ফিরতে চাইলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। কিন্তু আমি এখন এসএ গেমসের অ্যাথলেটিকস ক্যাম্পে আছি। জাতীয় সামার মিট আছে ২২-২৩ আগস্ট। ফুটবল ক্যাম্প শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। ’
ফুটবল ও অ্যাথলেটিকসের দ্বিধা ছাড়াও রুমকির ভাবনায় আছে চাকরি ও পড়াশোনা। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন নিয়মিত খেলোয়াড়। ২০২০ সাল থেকে খেলছেন নৌবাহিনীর হয়ে, ছয় বছরের চুক্তি নবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি পড়ছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন ও স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে। রুমকি বলেন, ‘আমি এখন প্রথম বর্ষের চতুর্থ সেমিস্টারে পড়ছি। পড়াশোনার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। ম্যাডাম বলেছেন, এটা তিনি দেখবেন। ’
রুমকি এর আগে নারী ফুটবল লিগে কুমিল্লা ইউনাইটেড ও জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশের হয়ে খেলেছেন। কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন কাচারিপাড়ায়। ২০১৭ সালে গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে বাফুফের ক্যাম্পে ছিলেন ৮ মাস। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে থাকাকালীন চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলেছেন। গোলরক্ষক হিসেবে কোচ হওয়ার লক্ষ্যে ‘বি’ ডিপ্লোমা কোর্সের প্রথম মডিউল সম্পন্ন করেছেন তিনি।
অন্যদিকে অ্যাথলেটিকসে কমনওয়েলথ গেমস ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়েছেন রুমকি। হাইজাম্পে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজের অবস্থান করেছেন আরও দৃঢ়।
আগস্টের শেষে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন রুমকি। তার ভাষায়, ‘আমি সময় নিচ্ছি। সামার মিট শেষ হলে সিদ্ধান্ত নেবো আমি কোথায় যাচ্ছি। ’
এআর/আরইউ