ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

কাপ্তাই হ্রদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৩২, আগস্ট ৩, ২০২৫
কাপ্তাই হ্রদে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু

তিন মাস দু’দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে কাপ্তাই হ্রদে জেলে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে।  

শনিবার (০২ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টার পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে নৌকা নিয়ে হ্রদে নামেন জেলেরা।

মাছ ধরার পর রোববার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে পৌঁছাতে শুরু করেছে মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) চারটি (রাঙামাটি, কাপ্তাই, মহালছড়ি, মারিশ্যা) অবতরণ ঘাটে। কেন্দ্রগুলোতে মাছের ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহনের ব্যস্ততা বেড়েছে।

প্রথম দিনে তুলনামূলকভাবে ছোট মাছ বেশি ধরা পড়েছে। চাপিলা, কাঁচকি ও চিংড়ি বেশি দেখা গেছে। তবে পানি কমতে শুরু করলে কার্প জাতীয় বড় মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে রাঙামাটি ফিশারি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ট্রলার থেকে মাছ নামানো হচ্ছে। সেখানে দরদাম শেষে মাছ বরফসহ ড্রামে ভরে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। জেলেরা বলছেন, দীর্ঘদিন পর হ্রদে মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে তারা খুশি।

কাপ্তাই এলাকার জেলে বাচন তালুকদার বলেন, তিন মাস বেকার বসে ছিলাম। এখন আবার হ্রদে নামতে পেরে ভালো লাগছে। প্রথমদিন তাই মাছ একটু কম, তবে আশা করছি সামনে দিন ভালো যাবে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. ফয়েজ আল করিম বলেন, শনিবার মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। চারটি ঘাটেই মাছ আসছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করা হচ্ছে। আশা করছি, এ বছর গত বছরের তুলনায় আরও বেশি মাছ আহরণ সম্ভব হবে।

বিএফডিসির তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ থেকে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ আহরণ করে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

রাঙামাটি বিএফডিসির ক্ষেত্র সহকারী মো. রাশেদ বলেন, প্রথমদিনে মাছ কিছুটা কম পাওয়া গেছে। তবে পরিবেশ অনুকূলে থাকায় সামনের দিনগুলোতে মাছের পরিমাণ বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।

মৎস্য ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব বলেন, মাছের আকার ছোট হলেও ব্যবসা জমে উঠবে। আমরা প্রস্তুত আছি বরফ, ড্রাম, পরিবহনের সব কিছু নিয়ে।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর মে মাস থেকে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে, যাতে মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। এ বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিএফডিসির প্রস্তুতির জন্য তা ২ আগস্ট রাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কাপ্তাই হ্রদে প্রায় ২৭ হাজার জেলে মাছ ধরার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।