ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৫ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

ফেনীতে ৮৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৪৬, জুলাই ৩০, ২০২৫
ফেনীতে ৮৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ স্থানীয় অংশীজনদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা। 

ফেনী: ফেনীর মুহুরি-কহুয়া, সিলোনীয়া ও কালিদাস পাহালিয়া নদীতে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থা প্রকল্পের পুনর্বাসনের নিমিত্ত সম্ভাব্যতা সমীক্ষার খসড়া নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পরিকল্পনা দপ্তর ও মাঠ দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং'র প্রতিনিধিদের সঙ্গে স্থানীয় অংশীজনদের উপস্থিতিতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় প্রকল্পের অবস্থান ও বিস্তৃতি, প্রকল্প এলাকার বৈশিষ্ট্য, সমীক্ষা প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বিদ্যমান সমস্যাসমূহ, কর্মপরিকল্পনা নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।  

এ কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাগত বক্তব্যে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ফেনী জেলায় দীর্ঘমেয়াদি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উক্ত মতবিনিময় সভায় সমীক্ষা প্রকল্পের ওপর বিস্তারিত তুলে ধরেন আইএমএম পরিচালক তপন কান্তি মজুমদার।  

আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভিপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেহেনা আক্তার রানু, পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ছায়েদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব যতন মারমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী সার্কেলের সুপার হাসান মাহমুদ।  

রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য রাখেন এবি পাটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মুফতি আবদুল হান্নান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা ইতিপূর্বে ফেনীর এই নদীগুলোর বেড়িবাঁধ নির্মাণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনিয়ম-দুর্নীতি তুলে ধরে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত ও জেলার সব নদী-খাল দখলমুক্ত করার দাবি জানান। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমি বন্যা মুক্ত এবং অনেক এলাকায় বন্যার উচ্চতা ৩-৪ ফুট হ্রাস, নদী ও জলাধার পুনঃখনন এবং হাইড্রলিক এলিভেটেড ড্যাম নির্মাণের ফলে অতিরিক্ত ৮৮ লাখ ঘন মিটার পানি সংরক্ষণ হবে; যা শুষ্ক মৌসুমে সেচের পানির স্বল্পতা পূরণে সহায়ক হবে। এছাড়া অতি বন্যায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস, নদী ভাঙনের কবল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাসমূহ রক্ষা, জনমানুষের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি, সেই সঙ্গে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।