ঢাকা, বুধবার, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৩ জুলাই ২০২৫, ২৭ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে নীলফামারীর ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১১, জুলাই ২৩, ২০২৫
মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে নীলফামারীর ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা মাহরীনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ডিসি-এসপি

নীলফামারী: রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নীলফামারীর ডিসি (জেলা প্রশাসক) ও এসপি (পুলিশ সুপার)।  

বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়ায় মাহরীন চৌধুরীর সমাধিস্থলে যান তারা।

এসময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার এ এফ এম তারিক হোসেন খান তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন জলঢাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন, জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহুবার রহমান বলেন, মাহরীন চৌধুরী
শুধু একজন শিক্ষক ছিলেন না, ছিলেন মানবিক বীর। আমরা শিক্ষক সমাজ তার আত্মত্যাগে গর্বিত ও শোকাহত।  

মাহরীনের চাচা রিকো চৌধুরী বলেন, ছোটবেলা থেকেই মাহরীন মেধাবী ছিলেন। ঢাকায় থেকেও এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, সহযোগিতা করতেন।

গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে প্রশিক্ষণরত যুদ্ধবিমান  উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জুনিয়র সেকশনের ক্লাসরুমে বিধ্বস্ত হয়। এতে মুহূর্তেই বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় ভবনে। এসময় পাশের একটি ভবন থেকে বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন মাহরীন। শিশুদের নিরাপদে নেওয়ার একপর্যায়ে নিজেই আগুনে আটকে পড়েন মাহরীন। শরীরের অধিকাংশ দগ্ধ হয় তার। তাকে গুরুতর অবস্থায় নেওয়া হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের লাইফ সাপোর্টে। সেখানে রাত পৌনে ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

মাহরীনের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি গ্রামে। তার বাবা মহিতুর রহমান চৌধুরী ও মা সাবেরা চৌধুরী। মাহরীন ছিলেন স্থানীয় বগুলাগাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি। পারিবারিক পরিচয়েও ছিলেন একজন পরিচিত মুখ। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। তার বাবা মহিতুর রহমান হচ্ছেন জিয়াউর রহমানের খালাতো ভাই। দাদি রওশানারা চৌধুরী ছিলেন জিয়াউর রহমানের খালা।  

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।