উত্তরের প্রবেশপথ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহর। এখানকার আজকের চিত্রটা ছিল অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরসহ প্রতিটি জায়গায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা। যা পৌরবাসীর চোখে-মুখে মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি কুঁড়িয়েছে প্রশংসা।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে পৌরশহরের গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পলাশবাড়ীতে আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ। এমন খবরে সকাল থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পল্লী অগ্রগতি কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত-শত ছাত্র-ছাত্রী।
সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন- বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক ও কালের কণ্ঠের সিনিয়র সহসম্পাদক জাকারিয়া জামান।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কালের কণ্ঠের উত্তরাঞ্চল প্রধান (মাল্টিমিডিয়া) সোহেল রানা স্বপ্ন, বসুন্ধরা শুভসংঘের সিনিয়র অফিসার মামুন, বসুন্ধরা শুভসংঘ গাইবান্ধা শাখার সভাপতি অমিতাভ দাস হিমুন।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য দেন- পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক দুদু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুরুল ইসলাম ও পল্লী অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুরুজ হক লিটন।
আলোচনা সভা শেষে দুপুরে স্লোগানসহ র্যালি নিয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরসহ প্রতিটি কোনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায় তারা। সেইসঙ্গে হাসপাতালে আগতদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্ধারিত স্থানে আবর্জনা ফেলার আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে বসুন্ধরা শুভসংঘ পলাশবাড়ী শাখার নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া আক্তার সুমনা বলেন, জনকল্যাণে সারাদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিশেষ করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃহৎ আকারে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। দেশ মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে এ সংঘের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। তারই অংশ হিসেবে আজ আমাদের এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের এমন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এম ও) ডাক্তার সাবা বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের চারপাশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে এরূপ অভিযানের পাশাপাশি সবার মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
আরএ