খুলনা: সংঘাত পরিহার করে শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন রাষ্ট্রের সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ ও ঐক্য ছাড়া সম্ভব নয়। গণমাধ্যমকর্মীরাও এ উদ্যোগের বাইরে নয়; বরং তারা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এফসিডিও’র অর্থায়নে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’র মাল্টি স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ ফর পিস অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি- এমআইপিএস প্রকল্প আয়োজিত শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপনে সাংবাদিকদের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে।
সোমবার (৩০ জুন) খুলনার হেলাতলায় স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের শীর্ষ গণমাধ্যমের খুলনা জেলার সাংবাদিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’র রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান রঞ্জু।
মতবিনিময় সভায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. নাজমুন নাহার নুর বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতার ঘটনা চিহ্নিত, প্রতিরোধ, প্রশমন ও নিষ্ক্রিয় করার মাধ্যমে সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং সকলের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি জোরদার করা এমআইপিএস প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের ২৭ টি জেলার ৭৪টি উপজেলা এমআইপিএস কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি সাংবাদিকবৃন্দও এই প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। সাংবাদিকদের সাথে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার লক্ষ্যেই এই মতবিনিময় সভার আয়োজন।
খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক তার বক্তব্যে বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে সাংবাদিকরা শান্তি রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের মধ্যে সম্বয়য় দরকার। পাশাপাশি সকল পক্ষের অংশগ্রহণে সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি।
এমআইপিএস প্রকল্প রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত সহিংসতা নিয়ে কাজ করলেও মাদক ও কিশোরগ্যাং ইস্যু যুক্ত করার পরামর্শ দেন এনটিভির সাংবাদিক আবু তৈয়ব।
তথ্য প্রদান, বিদ্যমান বিশৃঙ্খলার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা এবং তথ্য যাচাই ও সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণের আয়োজনসহ নানা প্রস্তাবনা উঠে আসে মতবিনিময় সভা থেকে। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ’র এরিয়া কোঅর্ডিনেটর রাজু জবেদ।
এমআরএম