ঢাকা, শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০১, জুন ২০, ২০২৫
পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ শেখ জুয়েল। সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে পুলিশ হেফাজতে শেখ জুয়েল (৪৫) নামে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এ ঘটনা ঘটে।

 

তবে পুলিশ বলছে, হেফাজতে থাকা অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।

শেখ জুয়েল বাঙ্গরা গ্রামের শেখ বাড়ির প্রয়াত শেখ গোলাম সারোয়ারের ছেলে। তিনি পেশায় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়ভাবে বিএনপির একজন সক্রিয়কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।  

জুয়েলের স্ত্রী শিল্পী বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমার স্বামী ওয়াইফাই বিল কালেকশন করতে বের হন। দুপুরের পর খবর পাই পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে আমাকে দেখা করতে দেয়নি। অনেক অনুরোধের পর দেখা হলে তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন এবং জানান, তিনি নির্দোষ। আমাকে ছাড়িয়ে আনার অনুরোধ করেন। সন্ধ্যার পরে খবর পাই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, তিনি আর বেঁচে নেই। আমার স্বামীকে পুলিশ মেরে ফেলেছে। ’

জুয়েলের ছেলে শেখ সিহাব বলেন, বিনা অপরাধে পুলিশ আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে কোনো তথ্য না দিয়েই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা গিয়ে বাবার মরদেহ পাই।

জুয়েলের চাচাতো ভাই ও বিএনপি নেতা শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, বাঙ্গরা বাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করেন। রাত সাড়ে ৮টায় আমি এসআই আল-আমিনকে কল দিলে তিনি মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে দেখি, ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম মানিক জানান, পুলিশ রাত ৮টা ৫০ মিনিটে শেখ জুয়েলকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই।

তবে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ সঠিক নয়। শেখ জুয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন। থানায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে তার মৃত্যু হয়।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।