নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে কাঁচা মরিচের কেজি মাত্র ১০ টাকা। পাইকারি ও কৃষক পর্যায়ে এ দাম মাত্র ছয়/সাত টাকা কেজি।
এতে মরিচ চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। সপ্তাহখানেক আগেও ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, হঠাৎ করে দাম পড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে ভালো দাম না পেয়ে হতাশ মরিচ চাষিরা।
কাঁচা মরিচের ফলন ভালো হলেও দাম না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মরিচ চাষিরা। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল প্রায় ৪০/৫০ টাকা। পাইকারি বাজারে এখন সেই কাঁচা মরিচের দাম নেমেছে ছয় থেকে সাত টাকায়।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের মরিচ চাষি জোবায়ের রহমান জানান, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের বর্তমান পাইকারি বাজার দর ছয় থেকে সাত টাকা। অথচ ক্ষেত থেকে মরিচ ওঠাতে প্রতি কেজিতে শ্রমিকের পারিশ্রমিক দিতে হয় সাত টাকা থেকে আট টাকা। আর সেই মরিচ বাজারজাত করতে কেজি প্রতি গুণতে হয় আরও দুই টাকা থেকে তিন টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের খরচ ওঠাতো তো দূরের কথা, দুই থেকে তিন টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ বাড়ায় ও চাহিদা কমায় মরিচের দাম কমেছে।
অন্যদিকে দাম কমায় স্বস্তিতে আছেন কাঁচা মরিচ ক্রেতারা। সৈয়দপুরের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ছয়/সাত টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তুলনামূলকভাবে সবজির দামও কমেছে।
তবে অনেকে বলছেন, সৈয়দপুরের কৃষকরা প্রথম দিকে ওঠা কাঁচা মরিচ যে দামে বিক্রি করেছেন, তাতে উৎপাদন খরচ আগেই উঠে গেছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ মরিচ হয়। কিন্তু এবার বাজার দর কম। তাই বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা আশানুরূপ মূল্য পাচ্ছেন না।
এসআই