ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সুন্দরবনের দুই দস্যুকে ধরে পুলিশে দিল জনতা, অস্ত্র উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫৩, জুন ১৭, ২০২৫
সুন্দরবনের দুই দস্যুকে ধরে পুলিশে দিল জনতা, অস্ত্র উদ্ধার

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয় থেকে দুই বনদস্যুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

সোমবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টা ও ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন যতীন্দ্রনগর ও মীরগাং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের যতীন্দ্রনগর এলাকার নজির গাজী (৫৫) ও খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বৈকারী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৮)।

এসময় তাদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা’ জব্দ করে পুলিশ।

স্থানীয় আকবর আলী, সিদ্দিক হোসেন ও ইসমাইল হোসেন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপরিচিত পাঁচ/সাতজন সুন্দরবন ঘেঁষা যতীন্দ্রনগর বাজারে আসেন। এসময় নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তারা মাইক্রোবাস বা ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে নাম-পরিচয়সহ সুন্দরবন এলাকায় আসার কারণ জানতে চাইলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় যতীন্দ্রনগর বাজারে উপস্থিত জনতা ধাওয়া করে দিদারুল নামে একজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর মীরগাং এলাকা থেকে অপর বনদস্যু নজিরকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত মাছ শিকারের নৌকা থেকে একটি একনলা বন্দুক ও একটি দা’ জব্দ করা হয়।

আটক নজির গাজীর ভাষ্য, তিনি সুন্দরবনের ক্যুখাত জোনাব বাহিনীর সদস্যদের লোকালয়ে তুলে দেওয়া এবং সুন্দরবনে নামিয়ে দেওয়ার কাজ করেন। সোমবার ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে যতীন্দ্রনগর বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন।

আটক অপর বনদস্যু দিদারুল জানান, তিনি নজির গাজীর শ্রমিক হিসেবে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেদের জিম্মি করাসহ মুক্তিপণ আদায়ে কাজ করেন।  

এদিকে ইসমাইল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফ হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, জোনাব বাহিনী এখন সুন্দরবনে খুব তৎপর না। বরং নজির ও তার ছেলে আব্দুর রহিম মুন্সিগঞ্জ এলাকার দিদারুলসহ কয়েকজনকে নিয়ে জোনাবের নামে সুন্দরবনে দস্যুতা করেন। পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মুন্সিগঞ্জের এক ব্যক্তির নৌকার জেলে হিসেবে দিদারুল সুন্দরবনে প্রবেশ করেন বলেও তাদের দাবি।

তারা আরও জানান, প্রায় প্রতিটি জেলে নৌকা একাধিকবার জলদস্যুদের কবলে পড়লেও অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবহন ব্যবসায়ীর কোনো নৌকা থেকে জেলে উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনা কখনো শোনা যায়নি।

এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারা মাছ শিকারির ছদ্মবেশে সুন্দরবনে যাতায়াত করেন বলে প্রাথমিক তথ্য মিলেছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।