পানিতে ডুবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলে বাসাইল ও গোপালপুর উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু ঘটে।
টাঙ্গাইলে নিহতরা হলেন - ঢাকার রামপুরা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে নিহাল (২৩) এবং মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের ভৌয়া গ্রামের জবু মিয়ার ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৭)। নিহতের মধ্যে নিহাল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিন বিকেলের বাসাইলে পিকনিক স্পট বাসুলিয়ায়াতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসে পানিতে ডুবে জাহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। জাহিদুল মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতো। তারা ৭ জন বন্ধু মিলে বাসুলিয়ায় বেড়াতে এসেছিল।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল, ইমন, রাব্বি, সামিউল ও ফরিদসহ ৭জন বন্ধু মিলে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে বাসুলিয়ায় ঘুরতে আসে। পরে দেড়টার দিকে তারা বাসুলিয়ায় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া নিয়ে বিলের মাঝখানে থাকা হিজল গাছের পাশে গিয়ে গোসলে নামে। গোসল শেষে তারা সড়কের দিকে ফেরার পথে জাহিদুল আবারও নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পানিতে ডুবে যায়। এসময় তার সঙ্গে থাকা অপর বন্ধুরা তাকে খুঁজতে পানিতে নামে। কিছুক্ষণ পর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে দুপুরে গোপালপুরে হাট বৈরান কুমারপাড়া এলাকায় বৈরান নদীতে গোসল করতে নেমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহালের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, নিহালসহ দুইজন নদীতে গোসল করতে নামেন। এসময় তারা পানিতে ডুবে যায়। এর মধ্যে একজন উঠতে পারলেও নিহাল উঠতে পারেননি। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে নিহালকে উদ্ধারে চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে দুই চাচাতো বোনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শুভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের মজমুদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ দুই বোন হলো-একই বাড়ির রাসেল মজুমদারের মেয়ে সামিরা আক্তার(১২) ও সাইফুল মজুমদারের মেয়ে সাফা মারওয়া (৭)। বুধবার (১১জুন) সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেন নিহতদের প্রতিবেশী যুব নেতা ইমরান মজুমদার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামিরা আক্তার ও সাফা মারওয়াকে বুধবার বিকাল পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ তাদের দুইজনকে না পেয়ে আশেপাশের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। আরেক শিশুর দেওয়া তথ্যে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে প্রথমে সামিরা আক্তার ও পরে সাফা মারওয়ার মরদেহ পাওয়া যায়।
এসএএইচ