রংপুর: পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে সারাদেশে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হলেও রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় এক ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে।
উপজেলার বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অধিকাংশ পুলিশ সদস্যই ঈদের ছুটিতে বাড়ি চলে গেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তদন্ত কেন্দ্রের মূল ফটকে অনগার্ড পজিশনে একজন মাত্র পুলিশ সদস্য অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। তবে কেন্দ্রের ভেতরে নেই আর কোনো সদস্য।
অনগার্ড দায়িত্বে থাকা ওই পুলিশ সদস্য জানান, কেন্দ্রটির ইনচার্জ খ.ম. মোফাক্কারুল আলম, উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আজিজুল ইসলামসহ মোট ১২ জন কনস্টেবল ছুটিতে রয়েছেন। বর্তমানে এসআই আমিনুল ইসলাম ও এসআই অজয় কুমারসহ গুটিকয়েক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা জানান, বৈরাতীহাট তদন্ত কেন্দ্রটি মূলত উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ইমাদপুর, বড় হযরতপুর ও মির্জাপুর ইউনিয়নের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উপজেলা সদর থেকে এসব এলাকায় পুলিশের পৌঁছাতে সময় লাগে, আর তাই এই এলাকায় আগেই নির্মাণ করা হয় তদন্ত কেন্দ্রটি।
কিন্তু সম্প্রতি এখানে মাদক ব্যবসা, জুয়া ও চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রবাসী ও কর্মজীবী মানুষ গ্রামে ফিরছেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসী। তারা মনে করেন, হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ সদস্য দিয়ে এতবড় এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহারুল ইসলাম নিক্সন পাইকার বলেন, ঈদের সময় কর্মজীবী মানুষ বাড়ি ফেরেন। এই মুহূর্তে পুলিশের ছুটি থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছুটি অনুমোদন করেছেন, আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা যারা আছি, তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি দায়িত্ব পালনের।
এ বিষয়ে বৈরাতীহাট তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খ.ম. মোফাক্কারুল আলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা দ্রুত জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের মতে, ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের ছুটি পুনর্বিবেচনা ও কেন্দ্রটিতে দ্রুত সদস্য বাড়ানো জরুরি।
এমজে