ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৫ মে ২০২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

সোনারগাঁয়ে আ. লীগ কার্যালয়সহ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৪, মে ১৫, ২০২৫
সোনারগাঁয়ে আ. লীগ কার্যালয়সহ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, ফলের-মিষ্টির দোকানসহ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মঞ্জুর মোর্শেদ, কাঁচপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার সেগুফতা মেহনাজ, সোনারগাঁ থানার ওসি মফিজুর রহমান, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি এসব দোকান পাট উচ্ছেদ করা হয়েছিল। গত তিন মাসের ব্যবধানে পুনরায় দখল হয়ে যায়।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় রাস্তার পাশে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে তিনটি কাঁচাবাজারসহ প্রায় দুই হাজারের অধিক অবৈধ দোকানপাট গড়ে তোলেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আওয়ামী লীগের শাসন আমলে একটি গ্রুপ মহাসড়কের জমি ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সেই গ্রুপ পালিয়ে যাওয়ার পর অন্য একটি গ্রুপ একই পন্থায় টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সরকার পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজির পরিবর্তন হয়নি। প্রশাসন এ চাঁদাবাজির সুযোগ করে দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্থায়ী সমাধান না করে উচ্ছেদ করায় ব্যবসায়ীরা তাদের সংসার চালাতে টাকার বিনিময়ে মহাসড়কের ফুটপাতে দোকান অবৈধভাবে গড়ে তুলছেন বলে জানান।

অভিযোগ রয়েছে,প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মাসে কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী গোপন আঁতাতে মাসোহারা পেয়ে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রশাসন একদিকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে যায়।  অপরদিকে, প্রভাবশালীরা আগের চেয়ে বেশি দোকান দিতে উঠে-পড়ে নামে। জায়গার অগ্রিম বাবদ ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা আর দৈনিক ১শ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা ভাড়া বাবদ আদায় করেন। ভাঙা গড়ার খেলায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হন স্থানীয় প্রভাবাশালীরা।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহেদ মোর্শেদ বলেন, মোগরাপাড়া এলাকায় মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পুনরায় দোকান বসালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় আগেও উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। তিন মাসের ব্যবধানে দখল হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয় অভিযোগ রয়েছে। প্রমাণের অভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ীভাবে দোকান বরাদ্দের চেষ্টা করা হবে।

এমআরপি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।