ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

সারাদেশ

হাসিনার নির্দেশেই তার দোসররা মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পুড়িয়েছে: রিজভী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
হাসিনার নির্দেশেই তার দোসররা মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়ি পুড়িয়েছে: রিজভী চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের আগুনে পুড়ে যাওয়া পৈত্রিক বসতবাড়ি পরিদর্শন শেষ কথা বলছেন রুহুল কবির রিজভী

মানিকগঞ্জ: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানবেন্দ্র ঘোষকে কিনতে পারেনি ফ্যাসিস্টরা, মানবেন্দ্র তার সব প্রতিভা দিয়ে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার একটি মোটিফ তৈরি করেন। আন্দোলনের সময় মুগ্ধ পানি দিচ্ছে, তার সেই পানির বোতল তৈরি করেছে শিল্পীরা আর এই কারণে ফ্যাসিস্টরা টার্গেট করেছে মানবেন্দ্র ঘোষকে এবং শেখ হাছিনার নির্দেশেই তার দোসররা মানবেন্দ্রর বাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার চান্দহর এলাকায় চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের আগুনে পুড়ে যাওয়া পৈত্রিক বসতবাড়ি পরিদর্শন শেষ তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, একজন শিল্পীর সম্পদ হলো তার সারা জীবনের শ্রম দিয়ে তৈরি করা কারুকার্য আর সেই সব তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। ওরা হলো লুটেরা, ওরা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, ওদের কাছে শিল্প ও সংস্কৃতির কী মূল্য, ওদের একটাই লক্ষ্য কীভাবে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে।  

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ একজন মেধাবী ছেলে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে পড়ালেখা শেষ করেছেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কথা কিন্তু ফ্যাসিস্টরা তাকেই তারা টার্গেট করেছে কারণ সে আন্দোলনের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে।  

তিনি বলেন, আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই- আপনারা অনেক কথা বলেন বা অন্য উপদেষ্টারা বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি না, এটা আইন আদালতের ব্যাপার। দেশের সব গণতান্ত্রিক দলগুলো আপনাদের সমর্থন করেছে এবং এখানে বসিয়েছে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কী হবে, কীভাবে রাজনীতি করবে, এটা নির্ধারণ করার দ্বায়িত্ব তো আপনাদের। তাদের কাছে প্রচুর অবৈধ অর্থ রয়েছে কীভাবে মানুষ হত্যা করতে হবে, কীভাবে পেট্রোল কিনে ঘরবাড়িতে আগুন দিতে হবে তা তারা জানে।  

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, এই সরকার নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলছে, কি টালবাহানা করছে, নানা বিষয়াদি দেখছি, এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল, প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহি থাকতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াকু সৈনিক, রাজনৈতিক নেতা, শিল্পী, কলাকৌসুলি আজ তারা নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে।  

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, এই যে বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে, ফ্যাসিস্টদের দমন করতে কি আইন প্রণয়ন করতে হবে তা জনগণের কাছে খোলাসা করেন। যেহেতু প্রশাসন আপনাদের হাতে এবং সরকার যদি এগুলো দমন করতে না পারে তবে জনগণ কিন্তু রুখে দাঁড়াবে। সরকারের দ্বায়িত্ব প্রত্যেকটি মানুষের জান মালের নিরাপত্তার বিধান করা। আমি সরকারের কাছে জোর আহ্বান করছি, যারা চারুশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিবেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ডা. আওয়ালসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।