ঢাকা: তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনে বিএনপির ঘোষণা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
নির্বাচন বয়কট করবেন, প্রত্যাখ্যান করবেন এটা খালেদা জিয়ার পূর্বপরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেন হানিফ।
চট্টগ্রামে অনেক যোগ্য নেতা থাকলেও এম মঞ্জুর আলমকে সমর্থন দেন খালেদা। কারণ, সেখানেও নিশ্চিত পরাজয় সম্পর্কে জানতেন তিনি। চট্টগ্রামে মঞ্জুরকে ‘বলির পাঠা’ বানানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া একটার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে একে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন হানিফ।
তারা যে অভিযোগ করছে, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে উল্লেখ করে হানিফ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটির ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট দিয়ে যাওয়ার আহবান জানান হানিফ। তিনি বলেন, তারা কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেখাতে পারেনি। কোনো একটি অনিয়মেরও তথ্য দিতে পারেনি বিএনপি।
তিনি বলেন, গত তিন মাসের অপকর্মের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা দলের পাশে নেই। এজন্য তারা পোলিং এজেন্ট দেওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই। তারা ইচ্ছে করেই পোলিং এজেন্ট দেয়নি।
নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট বর্জনের কথা বলে বিএনপি নেতৃত্ব এখন নতুন করে আন্দোলনে নামার ‘অপচেষ্টা’ করছে বলেও অভিযোগ করেন হানিফ।
এর আগে বেলা সোয়া বারটার দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোট বর্জনের এ ঘোষণা দেন মওদুদ।
দলটির ইলেকশন মনিটরিং টিমের সদস্যরাসহ উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বেলা সোয়া ১১টায় কেন্দ্র দখল, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট বর্জন করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলমও। নগরীর দেওয়ানহাট উন্নয়ন আন্দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। রাজনীতি থেকে অবসরেরও ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মনজুর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৫
এসকে/এএসআর
** ভোট বর্জন দুরভিসন্ধি!