গাজীপুর: গাজীপুর-ঢাকা রুটে যাতায়াতকারী তুরাগ ট্রেনটিতে তুলনামূলকভাবে অনেক যাত্রী ঢাকা থেকে যাওয়া-আসা করেন। অনেকে গাজীপুর থেকে ঢাকায় গিয়ে অফিস করেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৭টায় যাত্রী ভর্তি ওই ট্রেনে ককটেল নিক্ষেপ করে জনতার হাতে আটক হলেন মমিন মিয়া (২১)। আটক হওয়ার পর তিনি ফোন করে কাকে জানি বলেন, ওস্তাদ ধরা পড়ে গেছি। আর পারা যাবে না।
আটক মমিনের বাবার নাম নুরুন্নবী মিয়া। স্থায়ী বাড়ি শেরপুর। তিনি গাজীপুর শহরের জোড়পুকুর পাড় এলাকায় থেকে টাইলসের কাজ করেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার সময় ঢাকাগামী তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাজীপুর ১নং লাইনে এসে দাঁড়ায়। এরপর ট্রেনে যাত্রী ওঠা শুরু হয়। ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে ট্রেনের দুটি বগিতে বিকট শব্দ হয়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। আগুনে বেশ কিছু সিট পুঁড়ে যায়। তবে কোন হতাহত হয়নি।
তুরাগ ট্রেনের যাত্রী সরকারি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত হোসেন বাংলানিউজকে বলেছেন, ককটেল বা পেট্রোল বোমা অথবা পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ যাই হয়ে থাকুক জনতা সঙ্গে সঙ্গে একজনকে ধরে ফেলেছেন। ধরা পড়ার পর আটক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কাকে জানি বলেন, ওস্তাদ ধরা পড়ে গেছি। আর পারা যাবে না।
নাশকতাকারীর সংখ্যা একাধিক ছিল বলে ধারণা ওই সরকারি কর্মকর্তার।
ট্রেনের যাত্রী মো. রিয়াজ জানান, পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কয়েকজন নাশকতাকারী। আবার অপর এক যাত্রী জানালেন, ককটেল নিক্ষেপ হয়েছে।
জয়দেবপুর জিআরপি পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) দাদন মিয়া বলেন, পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন দিয়েছে অপরাধীরা।
এদিকে ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বাংলানিউজকে বলেন, মমিন ট্রেনে পেট্রোল বোমা ছুড় পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া করে গুলিশ গুলি ছুড়লে তার পায়ে লেগে পড়ে যায়। পরে তাকে আটক করা হয়।
পরে রেলওয়ে পুলিশ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫,২০১৫/আপডেট ১৫০৭ ঘণ্টা
