অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে আমেরিকান আধিপত্যবাদ কবুল করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আয়োজিত এক গণসমাবেশ থেকে এ দাবি করে ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ ভূখণ্ডের সকল গণআন্দোলনে ইসলামপন্থী জনতা রক্ত দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪’র গণঅভ্যুত্থানেও ইসলামপন্থীরা ব্যাপক অবদান রেখেছিল। কিন্তু আফসোসের বিষয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে জনপরিসর থেকে ইসলামকে বাদ দেওয়ার একটি সচেতন প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সংস্কার কমিশনগুলোও ধর্মীয় ও সামাজিক মূলবোধবিরোধী নানা এজেন্ডা নিয়ে হাজির হয়েছে।
বক্তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে আমেরিকান আধিপত্যবাদ কবুল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ জানান বক্তারা। তাছাড়া, গণঅভ্যুত্থানের স্টেকহোল্ডারদের নামে মিথ্যা জঙ্গি মামলা সাজানোর প্রতিবাদ জানান তারা।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদরীস। এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুফতি জসিমুদ্দীন রাহমানী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি শরিফুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুস্তাফা মনজুর, ড. সরোয়ার, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সাধারণ আলেম সমাজের সভাপতি মাওলানা রিদওয়ান, মাওলানা তানজিল আরেফিন আদনান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা ইমরান রায়হান, রাফিউজ্জমান, মাওলানা ইনামুল হাসান ফারুকী, মাওলানা ফুআদ মুবতাসিম, জুলাই যোদ্ধা মাওলানা শফিকুল ইসলাম, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, কাজী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইন্তিফাদা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমাদ রফিক, মুফতি তারেকুজ্জামান, আসিফ আদনান, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি, এসএম ফাহিম, জাকারিয়া মাসউদ প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে পাঁচ দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো— আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বেগবান করতে হবে, গ্রেপ্তার হওয়া র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার ও বরখাস্ত হওয়া সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনসহ প্রশাসনের সকল খুনি ও ধর্ষকদের বিচার করতে হবে, ইসলামপন্থীদের হয়রানিমূলক জঙ্গি নাটকের সাজানো বন্ধ করতে হবে, ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিল করতে হবে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
কেআই/এমজে