ঢাকা, শনিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৯ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব: মাসুদ সাঈদী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৫, জুলাই ৪, ২০২৫
পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব: মাসুদ সাঈদী কথা বলছেন জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী।

ঢাকা: পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত ও মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন প্রয়াত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী।

শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় পিরোজপুর পৌর জামায়াতের আয়োজনে জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, শহরে জনসংযোগ এবং পিরোজপুরের ভাড়ানিখাল খনন কাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবিটি জামায়াতের পক্ষ থেকে ১৯৮৪ সালে উত্থাপন করা হয়েছিল, সাত বছর পরে হলেও দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতারা জামায়াত উত্থাপিত এ দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পেরেছিল। তেমনি পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচনের যে দাবি জামায়াতের পক্ষ থেকে করা হয়েছে একটু পরে হলেও দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতাদের কল্যাণময় ও যৌক্তিক দিকগুলো বুঝতে পারবে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতি হলো এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেখানে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পায়, জাতীয় সংসদে তারা সেই ভোটের আনুপাতিক হারে আসন লাভ করে। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো জাতীয় সংসদে জনগণের বিভিন্ন অংশের মতামত ও আকাঙ্ক্ষাকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করা, যাতে প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব থাকে এবং কোনো ভোটই নষ্ট না হয়।  

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ, টাকার অপব্যবহার এবং নির্বাচনকে ঘিরে যে দুর্নীতিগুলো হয় পিআর পদ্ধতির মাধ্যমেই তা রোধ করা সম্ভব। আশা করি সবরাজনৈতিক দলের সম্মানিত নেতারাও দেশের জনগণ তা বুঝতে পারবেন।

মাসুদ সাঈদী বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। এই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় সব ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদ ও দেশবাসীর দাবিই হচ্ছে আগে, গণহত্যার বিচার ও তারপর নির্বাচন। তাই ইন্টেরিম সরকারকে খুনি হাসিনাসহ তাদের দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ও যৌক্তিক সংস্কার দৃশ্যমান করতে হবে। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার না করে যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন দিলে আবারও ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে পারে। এ দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদকে মেনে নেবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক শেখ, পৌর আমীর ইসহাক আলী খান, পৌর সেক্রেটারি আল আমিন শেখ, পৌর সহকারী সেক্রেটারি আনসারুজ্জামান হালিম, পিরোজপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আমির মোদাচ্ছের হোসাইন, সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, পিরোজপুর বাজার সভাপতি কবিট হোসেনসহ পৌরসভা ও ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতারা।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।