ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো হাসিনা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না: সারজিস আলম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৫, জুন ২৮, ২০২৫
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো হাসিনা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না: সারজিস আলম কথা বলেছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধতা থাকলে ভবিষ্যতে কোনো সরকারই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। আমরা যতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকবো, ততদিন এই বাংলাদেশে আর কোনো হাসিনা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না।

শনিবার (২৮ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমার সামনে আজ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে যে, লাখো ছাত্র জনতার উপস্থিতি, তারাই ছিল আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোদ্ধা।

তিনি বলেন, আমরা যখন জুলাই অভ্যুত্থানের ওই স্মৃতিকে নিজেদের বুকে ধারণ করে শহীদের যে আত্মত্যাগ, জুলাইযোদ্ধাদের যে রক্ত দেওয়া, সেগুলোকে আমরা যতক্ষণ ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলবো, ততক্ষণ কারো প্রপাগান্ডা বা বিদেশি এজেন্টের চক্রান্তে আমাদের কিছু আসে যায় না।

সারজিস জোর দিয়ে বলেন, এই ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা যারা অভ্যুত্থানের সহযোদ্ধা ছিলাম, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, আগামীর বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট কোনো নামে, কোনো ব্যক্তিকে সামনে রেখে, কোনো দলকে সামনে রেখে এই বাংলাদেশে দাঁড়াতে পারবে না।

সারজিস ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের শৃঙ্খলার প্রশংসা করে বলেন, আজকে যখন আমি আসছিলাম, রাস্তার আশেপাশের প্রত্যেকটি মোড়ে আমার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ট্রাফিকের কাজ করছে। এটাই হচ্ছে দৃষ্টান্ত যে আমরা কাজ করব। আমাদের রাজনৈতিক সমাবেশ করব। একইসঙ্গে জনগণের যে হয়রানি, সেটাও আমাদের মাথায় থাকবে।

তিনি পূর্ববর্তী সমাবেশের পর মাঠ পরিষ্কার করার উদাহরণ টেনে বলেন, এটাই হচ্ছে আগামী বাংলাদেশের দৃষ্টান্ত যে, আমাদের যারা সাময়িক যদি কোনো সমস্যা হয়, আমরা আবার ঐক্যবদ্ধভাবে সেই সমস্যার সমাধান করব।

সারজিস স্মরণ করিয়ে দেন যে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের পাঞ্জাবি, পায়জামা, টুপি দেখে টার্গেট কিলিং করা হয়েছিল।  

তিনি বলেন, আমার মাদ্রাসার অসংখ্য ভাই এই টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। আগামীর বাংলাদেশে কেউ যেন কাউকে ট্যাগিং করে টার্গেট কিলিংয়ের শিকার না করতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সারজিস আলম সংস্কার ও বিচার-কে তাদের লড়াইয়ের মূলভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।  

তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য ‘‌‌‌‌‌‌পিআর’ ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই যে পিআর, আগামী বাংলাদেশের সংসদে আমরা যদি আসলেই জনগণের প্রতিনিধিত্ব চাই, তাহলে আগামীতে এই পিআর নিয়ে আমাদের আরও জোরদার কাজ করতে হবে।

এনসিপির পক্ষ থেকে তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, বাংলাদেশের প্রশ্নে, জনগণের প্রশ্নে আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, আপনাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ’২৪ এর মতো এনসিপি আবারও আগামীর বাংলাদেশে লড়াই করবে।

সারজিস আলম বলেন, আমাদের এই বাংলাদেশের ’২৪ এর অভ্যুত্থানের স্পিরিটের প্রশ্নে, ওই খুনিদের বিচারের প্রশ্নে, রাষ্ট্রের সংস্কারের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাব। আমরা যতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকব, ততদিন এই বাংলাদেশে আর কোনো হাসিনা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে আমাদের আবারো দেখা হবে রাজপথের লড়াইয়ে অথবা বিজয়ে। ততদিন পর্যন্ত সত্যের সাথে থাকবেন, ন্যায়ের সাথে থাকবেন। যত বড় খুনি, যত বড় সাহসী, যত বড় নেতাই ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার চেষ্টা করুক না কেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করব ইনশাআল্লাহ জিন্দাবাদ।

ইএসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।