ঢাকা: লন্ডনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ‘একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ’ প্রকাশের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পূর্বের প্রস্তাবনার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লন্ডন বৈঠক নিয়ে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) প্রতিক্রিয়ার জবাব দেন তিনি।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক হয়। এ বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় জানানো হয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এ ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামী অভিযোগ করে যে, প্রধান উপদেষ্টা ‘একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন’।
সালাহউদ্দিন আহমদ এ অভিযোগের জবাবে বলেন, জামায়াতের আমির গত ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশি মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, ২০২৬ সালের রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে। সুতরাং, লন্ডন বৈঠকের পর ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমা জামায়াতের আমিরের পূর্বের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এটি কোনো দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ নয়।
এদিকে, শুক্রবার রাতে এনসিপি আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়। দলটি মনে করে, নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। এনসিপির মতে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।
এনসিপির এই প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, নতুন রাজনৈতিক দলটি লন্ডন বৈঠকের ঘোষণাকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছে। তিনি তাদের দলীয় দৃষ্টির ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং আরও অভিজ্ঞতা অর্জনের পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে যে প্রক্রিয়ায় সমঝোতা হয়েছে এবং সেটি যেভাবে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
ইএসএস/আরআইএস
