ঢাকা, শনিবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রতি ওয়ার্ডে চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫২, জুন ৬, ২০২৫
প্রতি ওয়ার্ডে চামড়া সংগ্রহ-সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি

ঢাকা: প্রতি ওয়ার্ডভিত্তিক সিটি কর্পোরেশন কিংবা সরকারের ব্যবস্থাপনায় চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সমন্বয়কারী এস এম শাহরিয়ার এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, মাদরাসাগুলোর আয়ের বড় একটি উৎস কোরবানি পশুর চামড়া সংগ্রহ করা। মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে একটি সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে চামড়াকে একটা ফেলনা বস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ তারা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে।

এস এম শাহরিয়ার বলেন, যদি প্রতিটা ওয়ার্ডভিত্তিক সিটি কর্পোরেশন কিংবা সরকারের ব্যবস্থাপনায় চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা না হয়, তাহলে আমরা মনে করি চামড়ার সিন্ডিকেট ভাঙা ও সঠিক মূল্য দেওয়া সম্ভব হবে না। সেই জন্য আমাদের দাবি প্রতিটা ওয়ার্ডভিত্তিক একটি অস্থায়ী চামড়া সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এর মধ্যে দিয়ে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরবর্তী দাবি হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার সব ধরনের বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে জোরালো কর্মসূচি চালাতে হবে। ঈদে রাজধানী যখন ফাঁকা হয়, তখন রাজধানী একটি অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। সেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তারা যেন ঢাকা শহরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের যদি কোনো নির্দেশনা ও কর্মসূচি থাকে তাহলে সেটা আজকের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। সেই বিষয়ে নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

শাহরিয়ার আরও বলেন, কোরবানি ঈদের যাত্রায় শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ তাদের ঘরে ফিরে যায় না। গরু ব্যবসায়ী যারা ঢাকায় আসেন তারাও ফেরেন। তাদের অজ্ঞান পার্টিসহ নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে দেখি এবং তাদের সর্বস্ব লুট করা হয়। এই জায়গায় পুলিশ প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের যাত্রাকে নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ করতে হবে। এর জন্য যা যা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেটা পুলিশ প্রশাসনকে নিতে হবে। এই দাবিগুলো এনসিপি ঢাকা মহানগরের পক্ষ থেকে আমরা পুলিশ প্রশাসন এবং সরকার, ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাছে রাখতে চাই। আমাদের বিশ্বাস এক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে যে ঈদ উদযাপন হচ্ছে সেটা অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে সারাদেশে পালিত হবে।

আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।