ঢাকা, রবিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২, ১১ মে ২০২৫, ১৩ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

‘শাহবাগ ব্লকেড’, ছাত্র-জনতার তিন দাবি 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৯, মে ৯, ২০২৫
‘শাহবাগ ব্লকেড’, ছাত্র-জনতার তিন দাবি  শাহবাগ অবরোধ

ঢাকা: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ‘শাহবাগ ব্লক’ করেছে ছাত্র-জনতা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচির ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার (০৯ মে) বিকেল থেকে শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা।

ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছেন শাহবাগে। যে কারণে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন হাতে অনেকেই হাজির শাহবাগে। সেখানে রয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও। পতিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা। ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাক ‘, ‘মুজিববাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’সহ নানা স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।  

শাহবাগ থেকে সরকারের কাছে ইতোমধ্যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলো হলো -  

১. আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।  

২. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে।

৩. জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।

এই তিন দাবি এনসিপির নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পোস্ট করেছেন।  

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শুক্রবার সন্ধ্য ৭টার কিছু পর ফেসবুকে এই তিন দাবির কথা উল্লেখ করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই একই দাবি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।  

এছাড়া ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি সুনির্দিষ্ট দুটি দাবির কথা উল্লেখ করেছেন ফেসবুক পোস্টে। তিনি লিখেছেন - ১. গণহত্যার দায় ফ্যাসিস্ট লীগকে প্রথমত নির্বাহী আদেশে, এরপরে আদালতের মাধ্যমে এবং সবশেষে রাজনৈতিক সমঝোতায় সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। ২. অবিলম্বে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র প্রদান করতে হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে রাত ১০টার দিক থেকে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে রাত একটার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনার সামনে থেকে সরে ফোয়ারার সামনের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। জুমার নামাজের পর এই মঞ্চের সামনে বড় জমায়েত হয়। এনসিপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিসসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।  পরে শাহবাগ অবরোধ করার ঘোষণা দেন হাসনাত।

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।